Header Ads

আয়নিত জল-ই রুখবে করোনা সংক্রমণ !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
মারণ ভাইরাস করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ‘হাইড্রোজেন ওয়াটার’  বোতলবন্দি হয়ে যেমন ঘরে ঘরে পৌঁছুচ্ছে, তেমনই ‘নেগেটিভ আয়ন’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বসতি থেকে বহুতল ভবনে স্প্রে ছড়িয়ে রোখা হচ্ছে কভিড-১৯ সংক্রমণ। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এমনটাই দাবি।

তাঁরা বলছেন, একবার ওই নেগেটিভ আয়ন শরীরে ঢুকলে অন্তত
১৫ দিন জীবাণু সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যাবে। আয়নিত এই জল নিয়মিত খেলে শুধু করোনা সংক্রমণ থেকেই বাঁচা যাবে, তা নয়। ডায়াবেটিস, রক্তচাপজনিত অসুখও কমবে।
প্রশ্ন উঠেছে, কভিড-১৯ ভাইরাস তো মুখ বা নাক দিয়ে শরীরে ঢুকছে, তাহলে এই জল বা আয়ন কিভাবে প্রতিরোধ করছে?
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কলকাতার পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ঘিঞ্জি বস্তিতে এই আয়ন স্প্রে করা সংস্থার ডিরেক্টর সুপ্রিয় কুমার। তাঁর দাবি, স্প্রে করলে অতিমাত্রার পিএইচ ভেঙে আয়ন হয়ে শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিদ্যুৎ গতিতে ঢুকে ক্ষতিকারক ভাইরাস ধংস করছে। আর স্প্রে থেকে সৃষ্ট অক্সিজেন আয়ন রক্তে মিশে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। নাক বা মুখ দিয়ে ঢোকা ভাইরাসের ৯৮ শতাংশ স্প্রে-তে ধংস হবে। আর বাকি ২ শতাংশ ভাইরাস শরীরের 'ইমিউনিটি’ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপনাআপনি মরে যাবে।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার জানান, বেলগাছিয়া ও রাজাবাজারের মত অতি সংক্রমণ বস্তিতে নেগেটিভ আয়ন অর্থাৎ ‘অ্যালকালাইন স্প্রে’ করেই করোনার সংক্রমণ রুখে দেওয়া গিয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডের চেতলা লকগেট বসতি ছাড়াও শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে করোনা রোগী ধরা পড়লেই সংলগ্ন এলাকায় স্প্রে করা হয়েছে। সেই এলাকায় নতুন করে আর কোনও কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়নি বলে পৌরসভা দাবি করেছে।
ব্যয়বহুল এই রাসায়নিক তরলটি অবশ্য স্প্রে করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সম্মতি আদায় করতে হয়েছে।
সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর গৌতম সেন জানান, যে সমস্ত রাসায়নিক ও সামগ্রী ওই ডিটক্সে থাকার কথা বলা আছে তা উপকারী। আইসিএমআর-এর স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আবেদন জমার কথা স্বীকার করেছেন সংস্থার এমিরেটস চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাঃ মিহির কুমার ভট্টাচার্য।
ডাঃ ভট্টাচার্য  বলেন,ভাইরাস প্রতিরোধে কতটা ভূমিকা নিচ্ছে তা নিয়ে আরও প্রয়োগের তথ্য প্রয়োজন। তবে মানুষের শরীরে পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে দিলে এবং অ্যাসিডিটি কমলে অনেক রোগ দূর হয়ে যাবে।
হিমালয়ের পাথরে মিশে থাকা যে জল ঋষিরা পান করতেন, তাতে মিশ্রিত নানা ধাতব কণা আয়নিত হয়ে শরীরে ঢুকে পিএইচ মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দিত। হিমালয়ের সেই দূর্মূল্য ধাতুগুলি রাখা হয়েছে এই বোতলের মধ্যে।
যে বোতলে জল ঢুকছে সেই ধাতব মিশে জলের পি্এইচ মাত্রা ৮.৫ করে দিচ্ছে। যে বা যাঁরা ওই জল খাচ্ছেন, তাঁর শরীরের অ্যাসিডের হার কমছে। বাড়ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হায়দরাবাদে ল্যাবরেটরিতে প্রায় ৪৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিরল ধাতবকণা কার্বনাইজড করে বোতলের দেওয়ালে রাখা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.