Header Ads

এ মাসেই মৃত্যু এক লাখ ছাড়াবে আমেরিকায় !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১৪,৮৪,২৮৫ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ৮৮,৫০৭ জনের। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জুনের মধ্যে সে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
এখন পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়টি বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সেসব বিশ্লেষণ করে সিডিসির গবেষকরা বলছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে মৃত্যুহার বাড়বে। অথচ বেশ কিছু রাজ্য অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় রেখে লকডাউন খুলে দিচ্ছে।

গত ৪ মে টাউন হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা ৭৫-৮০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষকে হারাতে যাচ্ছি। তখন করোনায় ৬৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু আজ ১৬ মে সেই সংখ্যা ৮৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দিনের পর দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গতকাল শুক্রবার সিডিসি প্রধান রবার্ট রেডফিল্ড বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে মোট যে সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ মাসেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে।
সিডিসি বলছে, ১ জুনের মধ্যেই এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আর লকডাউন খুলে দেওয়া হলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গোপন নথি এখন হ্যাকারদের হাতে ! একদল হ্যাকার ঘোষণা করেছে তাদের নতুন টার্গেট ট্রাম্প। কিছুদিন আগে দেশটির আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গ্রুবম্যান শেয়ার মিসেলাস অ্যান্ড স্যাকস এর কয়েক হাজার নথি চুরি করে ৪২ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দাবি করেছিল এই গ্রুপটি। তারাই এখন বলছে ট্রাম্পের গোপন নথি প্রকাশ করবে এবং সেটি তাদের হাতে রয়েছে।
এক ব্লগ পোস্টে ডার্ক ওয়েব নামক হ্যাকার গ্রুপটি জানায়, ‘এরপর আমরা যার গোপন নথি প্রকাশ করব তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামনে একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখেই আমরা তার সব কুকীর্তি প্রকাশ করে দেব। তার একটন আবর্জনাতুল্য তথ্য আমরা পেয়েছি। এসব গোপন কথা প্রকাশ করার পর আপনারা ভোটাররাই চাইবেন না তাকে আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে। বিস্তারিত দ্রুতই প্রকাশ হবে। একসপ্তাহ সময় নিলাম।’
তথ্য চুরির বিষয়টি স্বিকার করে আইন প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, আমাদের হাতে নির্বাচন, সরকার ও যে সব ব্যক্তিগত তথ্য আছে এগুলো চুরি করতে বিদেশী একদল সাইবার সন্ত্রাসী বারবার হামলা করছে। তারা আমাদের নেটওয়ার্কে হামলা করে ৪২ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণও দাবি করেছিল। এ সমস্যার সমাধানে আমরা কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.