Header Ads

বরাক উপত্যকা থেকে ডিমা হাসাও জেলার মধ্য দিয়ে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করা যান বাহন চলাচলে বাধা স্থানীয় বাসিন্দাদের

 বিপ্লব দেব, হাফলং ৯ মেঃ বরাক উপত্যকা থেকে ডিমা হাসাও জেলার মধ্য দিয়ে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করা সব ধরনের যানবাহন চালাচল বন্ধ করে দিল হারাঙ্গাজাও এলাকার সাধারণ নাগরিকরা। কাছাড়ে ১০ জন ব্যক্তি কভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ডিমা হাসাও জেলার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার মাইবাং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি সন্দেহ জনক ডাভা স্বাস্থ্য বিভাগ সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি ওই ডাভার মালিক সহ ৬ কর্মীকে কোয়ারিন্টাইন করা হয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। জাতীয় সড়কের পাশে এই ডাভা থাকার দরুণ বরাক উপত্যকার তিন জেলা ও ত্রিপুরা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীদের নিয়ে আসা যানবাহন এখানে রেখে অনেক যাত্রী এখানে খাওয়া দাওয়া করেন।  

সন্দেহ করা হচ্ছে শিলচরে আক্রান্ত কোভিড ১৯ রোগীরা এই পথ দিয়ে যাওয়ার পথে এই ধাবায় খাওয়া দাওয়া করেন যার দরুণ আজ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই ধাবা সিল করে দেওয়া হয় এবং ধাবার মালিক সহ ৬ কর্মচারীকে কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে শিলচরের কভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীরা এই পথ দিয়ে গিয়েছেন কিনা তা মান্দার গেটের রেজিষ্ট্ৰার দেখেই বলা সম্ভবপর হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে কাছাড় ও ডিমা হাসাও সীমান্তবর্তী ডিটেকছড়া চেক গেটে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের চূড়ান্ত গাফিলতি করার অভিযোগ উত্থাপন করেন অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি উত্তম লাংথাসা। শুক্রবার উত্তম লাংথাসা সহ অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল ডিটেকছড়া গেইটে উপস্থিত হলে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের চূড়ান্ত গাফিলতি চোখে পড়ে ছাত্র সংগঠনটির। উত্তম লাংথাসা জানিয়েছেন বরাক উপত্যকা যাত্রীদের নিয়ে আসা অধিকাংশ যানবাহনের কোনও এন্ট্রি করা হচ্ছে না গেটে এমনকি যাত্রীদের ভালো করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তাই ডিমা হাসাও জেলায় এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে উত্তম লাংথাসা বলেন শনিবার থেকে বরাক উপত্যকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া কোনও যানবাহন ডিমা হাসাও জেলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না তারপরই হারাঙ্গাজাও এলাকার সাধারণ মানুষ শনিবার সকাল থেকে হারাঙ্গাজাও ও ডিটেকছড়ার মধ্যে ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বাস বেধে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে করা প্রহরায় রয়েছেন। শনিবার বরাক উপত্যকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা কোনও যানবাহন ডিমা হাসাও জেলায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি এতে সমস্যায় পড়েছেন বরাক উপত্যকা থেকে আসা অনেক যাত্রী। 

এদিকে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে গ্রীন জোনে থাকা কিছু জেলায় লকডাউন শিথিল করা হলে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি নিয়ম নীতি অমান্য করে আজ হাফলঙের সাপ্তাহিক হাটে প্রচুর লোক ভিড় করেন লকডাউন অমান্য করে। কিন্তু তারপর ও জেলাপ্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন অমান্যকারী দের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা যায়নি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.