Header Ads

করোনার লড়াইয়ে ভারতই বিশ্ব নেতা, জানালেন মার্কিন সাংসদ জর্জ হোল্ডিং !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
আমেরিকার এক প্রভাবশালী সাংসদ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর মতো ওষুধ এবং নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ভারতের প্রশংসা করে বলেন, ভারত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব নেতা হিসেবে সামনে উঠে এসেছে।

সাংসদ জর্জ হোল্ডিং বলেন, ভারত আমেরিকার সবথেকে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম আর আমাদের সম্পর্ককে আগাগোড়াই ওয়াশিংটন থেকে সমর্থন করা হয়। আমি কৃতজ্ঞ যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত প্রকৃত লিডারের মতো সামনে এসেছে আর আমি খুশি যে, বৈশ্বিক মহামারীর সময় আমাদের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। হোল্ডিং ভারত আর আমেরিকার সম্পর্ক বিষয়ক আমেরিকান কংগ্রেসের সহ সভাপতি।

হোল্ডং বলেন, “ভারত সরকার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করে চলেছে। এমনকি নিজের দেশ এবং আমেরিকার জন্যও ভারত সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। এটা দেখে আমি বিস্মিত যে, আমাদের থেকে প্রায় ১০ হাজার মাইল দূরে থাকা একটি দেশ কিভাবে আমাদের জন্য লড়াই করে চলেছে।”
হোল্ডিং বলেন, “ভারত এটা বুঝিয়েছে যে তারা ওষুধ এবং চিকিৎসার উকরণের যাতে অভাব না হয়, তার জন্য তারা সদাসতর্ক। আর ভারতের এই কাজের জন্য শুধু আমেরিকাই না, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোও অনেক সাহায্য পেয়েছে।
রিপাবলিকান সাংসদ বলেন, ‘এপ্রিলের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য একসাথে কাজ করেছে।”
এদিকে  ভারতে আটকে পড়া এক আমেরিকান নাগরিক জানান, তাঁর দেশের তুলনায় ভারত অনেক সুরক্ষিত। তিনি জানান, মহামারীর প্রকোপ ভারতের থেকে আমেরিকায় বেশি, এর জন্য তিনি আরও কিছুদিন ভারতে থাকতে চান। রিপোর্ট অনুযায়ী, থিয়েটার কর্মী টেরি জন কনভার্স (৭৪) একজন আমেরিকার নাগরিক আর লকডাউনের সময় থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। উনি কেরল হাইকোর্ট থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ভারতে থাকার অনুমতিও পেয়েছেন।
টেরি জন বলেন, আমি এখন ভারতেই আগামী ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে চাই। দ্বিতীয়বার তার ভিসার বৈধতা বাড়ানো হয়েছে। প্রথমবার ভিসার মেয়াদ ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়, কারণ ২৪ মার্চ রাষ্ট্রব্যাপী লকডাউন জারি করা হয়েছিল। আদালতে এখন তার ভারতে থাকার আবেদন নিয়ে আগামী ১৭ মে শুনানি হবে। যদি ভারতে লকডাউন জারি থাকে, তাহলে তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে।
টেরি জন জানান, তিনি আমেরিকার তুলনায় ভারতে অনেক সুরক্ষিত আছেন কারণ মহামারীর প্রকোপ ভারতের থেকে অনেক বেশি আমেরিকায়। ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মোট ৩৫ হাজার ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন আর এই মারক ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১৪৭ জন।
আরেকদিকে, আমেরিকায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আর ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ এই মারক ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। সেই হিসেবে দেখতে গেলে, টেরি জনের কথা একদম সত্যি যে, আমেরিকার থেকে ভারত অনেক সুরক্ষিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.