Header Ads

আর্থিক প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তি পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
কোভিড ১৯ এ সময় গরিবের চিন্তা যদি কেউ করে তা এই নরেন্দ্র মোদী সরকার করেছে। গতকাল দরিদ্র ও এমএসএমই তে সাহায্যের মাধ্যমে ১২ কোটি মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিনও দেশের শ্রমিক, কৃষক ও মধ্যবিত্তদের জন্য ঘোষণা থাকবে।
রাস্তার ঠেলাওয়ালা, শ্রমিক ও দেশের কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ নিয়ে আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি।

আজ দ্বিতীয় দফায় কৃষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে প্যাকেজে। মুদ্রা ঋণ খাতে আরও বেশি ধার দেওয়া হবে। জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থান বাড়াতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে প্যাকেজে।

২৫ লক্ষ নতুন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে বিগত কয়েক মাসে। ৩ কোটি কৃষককে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ৬৩ লক্ষ ঋণ মঞ্জুর করতে চলেছে কেন্দ্র। এছাড়া ৮৬ হাজার ৬০০ কোটির ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে ৪২০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য কেনার জন্য রাজ্যের সংস্থাগুলিকে ৬৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ কৃষকদের পকেটেই গিয়েছে।
করোনা সঙ্কটের সময়কালে শহরের গরিবদের সাহায্যের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা স্টেট ডিজাস্টার ফান্ডে তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এর জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনার জেরে শহরে আশ্রয়হীনদের জন্য নতুন শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনকে তিন বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
১২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৩ লক্ষ মাস্ক ও ১ লক্ষ ২০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করেছে। কেন্দ্র এই সব সংস্থাগুলিকে পয়সা পোর্টালের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা অনেকেই ঘরে ফিরছেন, তাদের কর্মসংস্থান তৈরি ও বিভিন্ন খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে নিজের রাজ্যে ফিরে যাতে ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পে কাজ পান তার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করবে কেন্দ্র।
অঞ্চলভিত্তিক মজুরিকে এক করার জন্য কেন্দ্র দক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। নুন্যতম দৈনিক মজুরি ২০২ টাকা করা হবে শ্রমিকদের জন্য।
পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্বশীল সরকার।
দেশের ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রতি পরিবার পরিযায়ীদের ৫ কিলো চাল বা গম এবং এক কিলো ছোলা দেওয়া হবে। এই পুরো বিষয়টির দেখভাল করবে রাজ্য। অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।
এক দেশ এক রেশন কার্ড শীঘ্রই চালু করা হবে। এর ফলে ৬৭ কোটি মানুষ অগাস্টের মধ্যে উপকৃত হবে এর ফলে। ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে ১০০ শতাংশ ভারতীয় এর সুবিধা পাবে। দেশের যেকোনও জায়গায় থেকে এবার থেকে যে কেউ এবার নিজের হকের রেশন পাবে।
পরিযায়ী শ্রমিক ও শহুরে দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ভাড়া বাড়ি বা আবাসন প্রকল্প আনবে কেন্দ্র। তা পিপিপি মডেলে করা হবে।
যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, বছরে এক বার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। যে সব সংস্থায় ১০ জনের কম কর্মী আছে, সেগুলিতেও ইএসআই-এর আওতায় আনা হবে।
মুদ্রা শিশু ঋণের আওতায় থাকা তিন কোটি মানুষদের জন্য ১৫০০ কোটি টাকার লাভ হবে। কারণ তাদের সুদের হারে ২ শতাংশ করে দেবে কেন্দ্র।
ফুটপাতের হকারদের ৫০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা। ৫০ লক্ষ ফুটপাতের হকার রয়েছেন ভারতে। লকডাউন পরবর্তী সময় ব্যবসা চালু করতে সাহায্য করতে এদের ঋণ সহযোগিতা দেওয়া হবে।
ডিজিটাল পেমেন্ট করা ফুটপাতের হকারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এরা কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হবে কেন্দ্রের তরফে।
(বিকেল ৪-টে ৫৮ মিঃ পর্যন্ত ঘোষণার অংশ)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.