Header Ads

শিথিল লকডাউনে কিভাবে নিরাপদে থাকা সম্ভব !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়


সারা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা প্রকোপএরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিকে বাঁচাতে বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছেঅনেক দেশেই সীমিত আকার লকডাউন শিথিল করা হয়েছেতবে এখন প্রশ্ন হলো লকডাউন শিথিল করা হলে কিভাবে করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবেবাড়ির বাইরে কিভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভবঘরের বাইরে অফিস রেঁস্তোরায় কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা যায় বিষয়ে গবেষকরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেনভাইরাস কিভাবে ছড়াতে পারে এবং কোথায় ছড়ানোর সম্ভবনা েশি সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে। যে বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে- প্রথমে যা খেয়াল রাখতে হবে তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ১৯৩০ সাল থেকে শুরু হওয়া গবেষণায় দেখা যায়, যখন কেউ কাশে তখন ড্রপলেটস বাতাসে মিশে যায় বা ১ মিটার দূরত্বে গিয়ে মাটিতে পড়ে। এ থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন। কোন কোন দেশের সরকার দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে, আবার কেউ বলছে ২ মিটারের কথা। মূল বিষয়টি হলো আপনি যত দূরে থাকবেন তত নিরাপদে থাকবেন। দ্বিতীয়ত বিষয়টি সময়। আপনি কতক্ষণ ধরে অন্য কার সাথে আছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটেন স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ১ মিটার দূরে থেকে ৬ সেকেন্ড সময় কাটানো আর ২ মিটার দূরত্ব থেকে ১ মিনিট সময় কাটানোও সমান ঝুঁকি। যেখানে কোনও সহকর্মীর কাছ থেকে আপনার দূরত্ব রাখা সম্ভব নয়, সেখানে সময়টি ১৫ মিনিটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। সময় নির্ধারণের পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রয়েছে--সেটি হল বায়ুচলাচল। তাই বেশিক্ষণ বাইরে থাকা সবচেয়ে ঝুঁকি বহন করে কারণ, সংক্রামিতর মাধ্যমে যে কোনও ভাইরাস বাতাসে মিশ্রিত হবে। ব্রিটিশি স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে দরজার বাইরেও ২ মিটার দূরেই থাকুন। আর কাছাকাছি থাকলে মুখোমুখি কথা বলার চেষ্টা করবেন না। তবে ভিতরে--যেখানে খুব বেশি বাতাস চলাচল করেনা আর অনেক মানুষ দীর্ঘ সময়ের জন্য একত্রে থাকতে পারে সেখানে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি। কোনও রেঁস্তোরার অভ্যন্তরে ঝুঁকিও কিন্তু কম নয় ! চীনা শহর গুয়াংজুতে করা একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, কীভাবে ক্লাস্টার সংক্রমণ অর্থাৎ গুচ্ছ সংক্রমণ ঘটেছে। রেঁস্তোরায় টেবিলে বসে কয়েকজন খাবার খাচ্ছিল। এর মধ্যে একজন আক্রান্ত হয়েছিল কিন্তু তার কোন লক্ষণ না থাকায় সে বুঝতে পারেনি। পরের দিনগুলিতে, সেই সময়ে রেঁস্তোরায় থাকা আরও নয-জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয় যার পাঁচ জন আরও কয়েক মিটার দূরে অন্য টেবিলে বসে ছিলেন। সংক্রমণের মূল কারণটি ছিল বায়ুপ্রবাহের দিকনির্দেশনা। কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিগুলো উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতেই পারে! অফিস এবং কারখানায় সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। আপনি সহকর্মীদের খুব কাছে গিয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক। আপনি যদি আপনার সহকর্মীর মুখে অ্যালকোহল বা খাবারের গন্ধ পান তাহলে বাতাসে বহনকারী ভাইরাসও খুব সহজে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে যে জিনিসটি জরুরী তা হলো হাত ধোওয়া। আপনি যখন কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তখন আপনি তাদের স্পর্শ করবেন না এবং দূরত্ব বজায় রাখবেন।সুরক্ষিত থাকার একটি উপায় নেই সুরক্ষিত থাকার জন্য একসঙ্গে বেশ কয়টি পদ্ধতি রয়েছে যা বিশেষভাবে অবলম্বন করা উচিত--বিশেষ করে ততদিন যতদিন না ভ্যাকসিন বাজারে আসছে!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.