Header Ads

চৈতালি বেলা শেষে....এক বাংলাদেশী মেয়ের গপ্প ষষ্ট পর্ব (৬)

দেবাশীষ মুখাৰ্জী 

রানাঘাটের মামারবাড়িতে ছুটির দিনগুলো বেশ কাটছিলো মৌলির...
মামারবাড়িতে সন্ধ্যের পর মামাতো দাদার বন্ধুদের একটা আড্ডা বসতো...মামাতো দাদার বন্ধুরা আসতো আড্ডা দিতে....
 
এদের মধ্যে নিলয়ও আসতো...তবে দোকান বন্ধ করে আসতো বলে একটু দেরিতে আসতো সে.... দাদার বন্ধুদের সাথে হাসি ঠাট্টা আড্ডা গল্পতে সন্ধ্যেগুলো দারুন কাটছিলো মৌলির...দাদার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই বেশি কথা বলতো...কেউ নিজেকে জাহির করার জন্য কেউ আবার মৌলির দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য....
বেশী কথা বলা মানুষদের বরাবরই একটু অপছন্দ মৌলির....
সবাই যখন আড্ডায় মেতেছে তখন নিলয় সেখানে বেশ চুপচাপ...কথা বলতো নিলয় তবে সেখানে তার একটা নিজস্ব বক্তব্য থাকতো....
আড্ডায় সবাই যখন মৌলিকে লক্ষ্য করছে মৌলি তখন লক্ষ্য করছে নিলয়কে....
এর মধ্যে মামারবাড়ি থেকে যাবার সময় হয় মৌলির...কিন্তু সামনে একটা পুজো চলে আসে...মৌলিকে থেকে যেতে বলে দাদা বৌদি...মৌলিরও খুব একটা যাবার ইচ্ছে ছিলো না...জেঠুকে ফোনে জানায় সে আর কিছুদিন পর ফিরবে....
থেকে যায় মৌলি কিছুদিনের জন্য মামারবাড়িতে...
এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটে যায়....
মামাতো দাদা একদিন বাইকের চাবিটা নিলয়ের হাতে দিয়ে বলে...যা তোরা একটু ঘুরে বেড়িয়ে আয়...
নিলয় সেভাবে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে স্বাভাবিক থাকে...কিন্তু অস্বস্তিতে পড়ে মৌলি...এভাবে অল্পদিনের চেনা...জানেনা সেভাবে নিলয়কে...হটাৎ করে বলাকওয়া নেই...তার সাথে বাইকে চেপে ঘুরতে যাওয়া....ঠিক মেনে নিতে পারেনা মৌলি...
আবার মুখ এড়িয়েও যেতে পারেনা....
কি একটা মনে করে চেপেই বসে নিলয়ের বাইকে....
বাইকে যেতে যেতে কিছু কিছু কথা বলে নিলয়...
মৌলির কোন কথাটাই কানে ঢোকে না...
নিজেকে আড়ষ্ট করে ফেলে...স্বাভাবিক ছন্দটাই হারিয়ে যায় তার....নিলয়ের থেকে বেশ কিছুটা ফারাক রেখে বসে মৌলি....
বেশ কিছুটা ঘোরাঘুরি করার পর...একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বাইকটা থামায় নিলয়....
দুজনেই বাইক থেকে নামে....
কেউ কোন কথা বলে না....
নিলয় মৌলির হাতটা ধরে...
নিস্তব্ধতা বেড়ে যায় তাদের দুজনের মাঝে....
দুজনেই চুপচাপ....কেউ কিছুই মুখ ফুটে বলেনা...নাকি বলতে পারেনা...
মৌলি এই অনুভুতিটা কেমন ছিলো বলতে গিয়ে সে জানায়....
চারদিকে এতো টেনশন সাথে পড়ার চাপ...সব মিলিয়ে কিছুই বুঝতে পারিনি....ভালোলাগা মন্দলাগা সব মিলিয়ে মিশিয়ে একটা মিশ্র অনুভুতি...তবে নিলয় কোন সুযোগ নেয়নি সেদিন আমার কাছে...আমি সেদিন নিলয়ের চোখের দিকে তাকাতে পারিনি....
শুধু হাতটাই ধরেছিলো নিলয়...
মৌলি একটা ভরসা পেয়েছিলো নিলয়ের কাছে....
সেদিনের এই হাত ধরাটাই ছিলো মৌলির জীবনের একটা ইউ টার্ন....
মোহ থেকে মোহগ্রস্ততা চেপে বসেছিলো মৌলির মনে....
কিন্তু এরই মাঝে এদের দুজনের মধ্যে আর এক
তৃতীয় ব্যাক্তির...আবির্ভাব হয়
ইনি নিলয়ের মামা...ছোট মামা...নিলয় আবার একে তুই তোকারি করে...বয়সে খুব একটা ছোট বড় নয়
পেশায় তান্ত্রিক জ্যোতিষ...
চলবে.....

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.