Header Ads

মদের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মদ্যপরা, পুলিশের লাঠিচার্জ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
কে বাঁচবে কে মরবে তার কোনো নিশ্চয়থা নেই তবু মদের দোকানের শাটার খুলতে না খুলতেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছে শয়ে শয়ে মানুষ। সোমবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। আর তাদের ভিড় হঠাতে লাঠিচার্জ করতে হলো পুলিশকে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় ক্ষেত্রবিশেষে মদের দোকান খোলায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে তা করতে হবে বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার অন্যতম দুটি শর্ত--মদের দোকানের সামনে পাঁচ জনের বেশি জড়ো হওয়া যাবে না এবং একজনের থেকে আর এক জনের দূরত্ব থাকতে হবে ছ'ফুট। 
 
এদিকে, কলকাতার কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের পাশের মদের দোকান থেকে মদ কেনার জন্য সোমবার সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ল কয়েকশ মানুষ। তাদের মধ্যে দু'গজের দূরত্ব তো অনেক দূরের কথা দু'ইঞ্চিও ফাঁক নেই ! একজনের ঘাড়ে আর একজন উঠে পড়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতি তৈরি হতেই ঘটনাস্থলে যায় কালীঘাট থানার পুলিশ। লাঠি চালিয়েও ভিড় ফাঁকা করতে পারেনি প্রশাসন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মদের দোকানের মালিককে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
শুধু কালীঘাট নয়। দিল্লির কাশ্মীরি গেটে মদের দোকানের লাইনে কোনো সামাজিক দূরত্ব না মেনেই লম্বা লাইনে কাছাকাছি মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল। লকডাউনের নিয়ম না মানার জন্য পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
কলকাতার ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন লালবাজারের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের অনেকের মতে, এখনই যদি নির্দেশিকা জারি করে মদ বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে বড় বিপদ ঘটে যাবে। শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও ছবিটা এক।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে মদের লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মদ না মেলায় দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও মদের দোকানের বাইরে থিকথিকে ভিড়ের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.