উইপ্ৰ কোম্পানির কাছ থেকে সফটওয়্যার কেনার নামে প্রতীক হাজেলা ৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, অভিযোগ এ পি ডব্লিউ সভাপতি অভিজিৎ শর্মার
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে শুদ্ধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত। অবৈধ বিদেশি বিতরণের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি
তৈরি হয়েছিল। হাজার ভুলের এন আর সি থেকে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়েছিল। এই এন আর সি
তৈরির জন্যে ৫৫ হাজার সরকারি কর্মচারী তিন বছর ধরে কাজ করেন। এন আর সি সমন্বয়ক
প্রতীক হাজেলার তত্ত্বাবধানে এই কাজে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে এন আর সি নবায়নের কাজ
হলেও লাগাম ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যায়নি। প্রতীক হাজেলাকে কোন প্রশ্নের মুখোমুখি
হতে হয়নি। কোনো রহস্য বলে তাকে প্রমোশন দিয়ে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দেওয়া হয়। ১৯ লক্ষ
মানুষকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল। সন্দেহভাজন নাগরিকে পরিণত করা হল। নাগরিকের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। অসহ্য মানসিক, শারীরিক যন্ত্রণা, প্রতি পদে মানবধিকার
লঙ্ঘিত হওয়ার পরও সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আসাম পাবলিক ওয়ার্কস-এর সভাপতি
অভিজিৎ শর্মা প্রায়ই একাই লড়ে যারছেন। আজ তিনি সাংবাদিকের কাছে মুখ খুললেন। তিনি
সরাসরি ১৬০০ কোটি ব্যায় করে এন আর সি তৈরির নামে ব্যাপক কেলেঙ্কারি দুর্নীতির পিছনে
প্রতিক হাজেলাকে কাঠ গড়ায় দাঁড়া করিয়ে বলেন, উইপ্ৰ কোম্পানির সঙ্গে সফটওয়ার
কম্পিউটার কিনে ৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন প্রতীক হাজেলা। ক্যাগের
প্রতিবেদনে এই দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতবড় দুর্নীতির পরও
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ৮০ লক্ষ
বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়েছেন প্রতীক হাজেলা। এ পি ডব্লিউ প্রধান অভিজিৎ
শর্মা জানান তিনি ইতিমধ্যে সুপ্রিমকোর্টে ২২টি অভিযোগ করেছেন। এবার সি বি আই
আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করবেন। হাজেলার পিছনে এক বিরাট শক্তি আছে বলে মন্তব্য
করে তিনি রাজ্যসভার এক মেম্বারের দিকে আঙ্গুল তোলেন।
কোন মন্তব্য নেই