পুরীর রথ তৈরির কাজ শুরু কেন্দ্রের অনুমতিতে
ভুবনেশ্বর: করোনার আতঙ্ক
ও লকডাউনের আবহেই শুরু হল পুরীর রথ তৈরির কাজ। মোট ৭২ জন কর্মী এই কাজে নিযুক্ত
রয়েছেন। শর্ত সাপেক্ষে রথ তৈরির নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। জগন্নাথ মন্দির
কর্তৃপক্ষের পদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শর্ত সাপেক্ষে রথ তৈরির
নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। রথসেবকরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সংস্পর্শে না আসতে
পারেন, তার জন্য তিন 'ভক্ত-নিবাস' তৈরি
করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মোট ৭২ জন কর্মী এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। ৯-দিন ব্যাপী এই
উত্সব আগামী ২৩ জুন শুরু হওয়ার কথা। লকডাউনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রেড অরেঞ্জ এবং
গ্রিন জোনে যাবতীয় নির্মাণকার্যে ছাড় দিয়েছে। এদিকে, ৫ মে
পর্যন্ত পুরী ছিল গ্রিন জোনে। কিন্তু ওড়িশায় নতুন ৫৮ জনের শরীর মিলল করোনা
সংক্রমণ মিলেছে। এনিয়ে ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫২ জন।
প্রতি বছর
২৫০ বেশি কাঠুরে এবং দক্ষ শিল্পীরা অন্তত দু'মাস ধরে
নিয়োজিত থাকে তিনটি রথ নির্মাণে।প্রথাগতভাবে এই তিনটি রথ তৈরির কাজ শুরু হতো
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে। এবার অক্ষয় তৃতীয়ার সময় গোটা দেশ করোনা ভাইরাসের
কারণে লকডাউন চলায় সেই কাজের অনুমতি মেলেনি। এবার জোন ভিত্তিক কাজকর্ম শুরুর
অনুমতি দেওয়ায় মন্দির কমিটি কিছুদিন আগে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বৈঠকে বসে
রথ নির্মাণের বিষয়ে। কমিটির চেয়ারম্যান দিব্য সিং দেব জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে রথ তৈরীর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু লকডাউনের জন্য
এই কাজ শুরু করা যায়নি। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, রথ
নির্মাণ শুরু হলে তা লকডাউনের গাইডলাইন লংঘন করা হবে না এবং রথযাত্রা উত্সব দুটি
আলাদা জিনিস। পুরী গ্রিন জোনে পড়ায় রথ নির্মাণ করা যেতেই পারে। আর রথযাত্রা
উদযাপন নির্ভর করছে জুন মাসে এই অতি মহামারী কতটা কাটিয়ে ওঠা যায় তার উপর।
কোন মন্তব্য নেই