কোভিড সংক্রমণ বেড়ে অসমে ১৫৪, প্রতি জেলাতে কয়রেন্টিন সেন্টার
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে কোভিড ১৯ সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্চে। অধিকাংশ সংক্রমণ
বাইরে থেকে আসছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার ভিন্ন রাজ্যে আবদ্ধ
থাকা মানুষ অসমে এসেছে। প্রায় ১ লক্ষ আরও আসবে বলে সরকার মনে করছে। এক লক্ষের বেশি মানুষের জন্যে কয়রেন্টিন সেন্টার তৈরির জন্য মানস অভয়ারণ্যের
পর্যটন কেন্দ্র, জেলার বহু ক্লাব, বিদ্যালয়, হোস্টেল প্রভৃতিতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি জেলাতে
কয়রেন্টিনে সেন্টার স্থাপন করা হবে। ২২ মে থেকে তা চালু হবে। এবার হোম
কয়রেন্টিনে থাকার নীতি পতিবর্তন করা হচ্ছে। একজন আক্রান্ত হলেও পুরো পরিবারকে কয়রেন্টিনে
থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ বরপেটাতে জানিয়েছেন। রাজ্যে
আজ সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত ১৪১ কোভিড ১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন মারা গেছেন।
আজকে মৃত ২ জন ক্যান্সার রোগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
গুয়াহাটিতে ১৬টি সংক্রমণ এলাকা বা কন্টেনমেন্ট জোন বানানো হয়েছে। শুধু গুয়াহাটিতে ৪৩
জন আক্রান্ত হয়েছেন। এম এম সি হাসপাতালে ৬৫ জন কোভিড রুগী চিকিৎসাধীন। পশ্চিমবঙ্গ, চেন্নাই, হরিয়ানা, রাজস্থান, এছাড়া নিজামুদ্দিন, মংরু সাহানি যোগসূত্র
থেকে শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে। অধিকাংশ বাইরের বলে বিভাগীয় সূত্র জানান। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের লকডাউন বিধি অনুযায়ী কোনো জেলাতে ২০০ জন আক্রান্ত হল। জেলাকে রেড জোন
হিসাবে ঘোষণা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হিমন্তবিশ্ব শর্মা, মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ বার বার সামাজিক
দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পড়ার আর্জি জানাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে। ডি জি পি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত আজ আবার
গুয়াহাটিবাসীকে সতর্ক থাকুন। সাবধানে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক
পড়ুন বলে আহ্বান জানালেও বিধি ভঙ্গের অভিযোগ বেড়েই চলছে। মাস্ক না পড়ার জন্য ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সারা রাজ্যে ১৫২২
জনকে লকডাউন বিধি ভঙ্গের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই