Header Ads

মোদীর মুখের ওপর জবাব মমতার, ভিডিও কনফারেন্সে পারদ চড়ালেন বঙ্গনেত্রী !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
লকডাউনের শেষ দফায় এসে আজ ১১ মে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনের শেষে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে মমতা অভিযোগ করেছিলন যে তাঁকে 'বোবা সাজিয়ে' রাখা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফা লকডাউন তোলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মমতা স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন ! 
 
মমতা বার্তা দিলেন মোদীকে, 'আমরা রাজ্য হিসাবে আমাদের সেরা টুকু দিয়ে লড়ছি। কেন্দ্র এই সংকটের পরিস্থিতিতে যেন রাজনীতি না করে। আমাদের রাজ্য আন্তর্জাতিক সীমানা দিয়ে ঘেরা, আমাদের সঙ্গে রয়েছে আরও বড় রাজ্যের সীমান্ত.. অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সামনে।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এভাবেই সামনাসামনি জোরদার জবাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আরও বক্তব্য, 'সমস্ত রাজ্যকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হোক। আমাদের উচিত একসঙ্গে টিম ইন্ডিয়া হয়ে লড়াই করা।' এই বক্তব্য রেখে মমতা বলেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা মাথায় রেখে যেন করোনার সংকটকালে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সমানভাবে মদত
দেয়।
গত ১০ দিন ধরে সাংবাদিকদের সামনে মমতা আসছেন না। তার আগে থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে করোনা ইস্যুতে রাজ্যের সংঘাত জোরালো হয়েছে। লকডাউন রাজ্যে ভালোভাবে পালিত হচ্ছে
না বলে কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়ে বাংলা। আর কার্যত এই
সমস্ত কিছুর জবাব আজ হাইভোল্টেজ মিটিং -এ মমতা দিতে উদ্যত হন।
কেন্দ্রের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর গত সপ্তাহেই একট চিঠিতে মমতাকে জানায় যে পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্টিং সঠিকভাবে হচ্ছে না। টেস্টিং এর গতিও মন্থর। এমনকি বাংলায় মৃত্যুর হার সব রাজ্যের চেয়ে বেশি বলে জানানো হয়। মৃত্যুর হার রাজ্যে ১৩ শতাংশের ওপর রয়েছে বলেও রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগে কেন্দ্র।
শুধু করোনা টেস্টিং-ই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়েও কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত কম হয়নি। রেলমন্ত্রক সরাসরি টুইটে জানিয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গ চাইছে না বলেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগে মমতা-অমিত চিঠি বিনিময় ঘিরেও পারদ তুঙ্গে ছিল। পরবর্তীকালে রাজ্য শ্রমিক ট্রেন নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যকে 'ভুল' বলে দাবি করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.