Header Ads

সন্তোষ হোজাইর খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি বিভিন্ন দল সংগঠনের

  বিপ্লব দেব, হাফলং ১ মেঃ ভেঙ্গে দেওয়া ডিএইচডি-র প্রাক্তন নেতা তথা ঠিকাদার সন্তোষ হোজাইকে প্রথমে অপহরণ তারপর নৃশংস ভাবে খুন করে মাটির নীচে মৃতদেহ পুতে রাখা। এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে সাত দিনের মাথায় লাংটিং ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের মুপা রিজার্ভ ফরেষ্টের কাছে লেইরিংয়ের জঙ্গল মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় সন্তোষ হোজাইর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ডিমা হাসাও জেলার সেই বিভিষিকাময় দিন গুলিকে যেন আবার তাজা করে দিয়েছে। 





কে বা কারা সন্তোষ হোজাইকে অপহরণ করে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। সমগ্র ঘটনাটি এখন রহস্যাবৃত। ডিমা হাসাও পুলিশ ও এনিয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় সন্তোষ হোজাইর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সমগ্র জেলা জুরে এক চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন দল সংগঠন এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন থেকে শুরু করে অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ডিমাসা সর্বোচ্চ সংগঠন জাদিখে নাইশ হসম ডিমাসা মাদার অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ডিমাসা মাদার অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী এগনেস গার্লোসা ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রমিত সেঙ্গইয়ং এবং অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উত্তম লাংথাসা এই ঘটনায় জেলাপ্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে সমগ্র ঘটনার পিছনে পুলিশের ভূমিকা সন্দেহ জনক বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিদের গ্রাফতার করে উপযুক্ত সাজা প্রদানের দাবি জানিয়েছে। 


অন্যদিকে উত্তম লাংথাসা বলেন ইতিমধ্যে এনিয়ে গুয়াহাটি হাইকোর্টে এক মামলা দায়ের করা হয়েছে আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। শুক্রবার ডিমা হাসাও জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে দক্ষিণ অসম প্রান্তের ডিআইজি দিলীপ কুমার দে হাফলং উপস্থিত হয়েছেন। এদিকে ভেঙ্গে দেওয়া ডিমা হালম দাওগা (ডিএইচডি)-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা হালালি প্ৰোগ্রেসিভ সোসাইটির সভাপতি এই ঘটনার জন্য ডিমা হাসাও জেলাপ্রশাসন ও ডিমা হাসাও পুলিশের দূর্বল ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। দিলীপ নুনিসা বলেন কভিড ১৯ রোগের ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে যখন সমগ্র দেশ জুরে লকডাউন চলছে এবং এই লকডাউন চলাকালীন ডিমা হাসাও জেলার সর্বত্র পুলিশের কড়া প্রহরা থাকার পর ও সন্তোষ হোজাইকে তার বাড়ি থেকে পাঁচ জনের দুষ্কৃতির দল বন্দুকের নলের মুখে নম্বর বিহীন সাদা বলেড়ো গাড়ীতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে হারাঙ্গাজাও থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে খুন করে মুপা রিজার্ভ ফরেষ্টের কাছে মাটির নীচে পুতে রাখার ঘটনায় ডিমা হাসাও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কতটুকু অবনতি ঘটেছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে দিলীপ নুনিসা বলেন- এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ডিমা হাসাও জেলার ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন ২৪ এপ্রিল সন্তোষ হোজাইর অপহরণের পর পুলিশ যদি এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে এই নম্বর বিহীন বলেড়োকে আটক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করত তাহলে সন্তোষ হোজাইর প্রাণ হয়ত বেঁচে যেত। দিলীপ নুনিসার অভিযোগ এই নম্বর বিহীন সাদা রঙের বলেড়ো গাড়িটি এখন হাফলঙে রয়েছে কিন্তু পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এদিকে ডিএইচডি-র প্রাক্তন নেতা সন্তোষ হোজাইকে অপহরন করে নৃশংস ভাবে খুন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিলীপ নুনিসা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি মৃত সন্তোষ হোজাইর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এদিকে শুক্রবার সন্তোষ হোজাইর মৃতদেহ হাফলং সরকারি হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে পর মৃত্যুর আসল কারণ জানতে নমুনা পাঠানো হবে ফরেনসিক ল্যাবে বলে জানা গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.