লকডাউন কার্ফুর মধ্যে রাতের অন্ধকারে বরাকে কয়লা চোরাকারবারী চলছে, তাদের গ্রেপ্তার করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি প্রদীপ দত্তরায়ের
শিলচরঃ লকডাউন কার্ফুর মধ্যে রাতের অন্ধকারে বরাকে কয়লা চোরাকারবারী চলছে, তাদের গ্রেপ্তার করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েন প্রদীপ দত্ত রায় এবং তিনি অভিযোগ করেন, সারা বিশ্ব এখন করোনা আক্রান্ত। বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশে সহ ভারতবর্ষের পরিস্থিতি ভয়াবহ।অসমের পরিস্থিতি উন্নতির বদলে অবনতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও কয়লা কেলেঙ্কারি অব্যহত রয়েছে। কয়লা ও পাথরের গাড়িগুলো নিয়মিত চলাচল করছে। এদের যে সিন্ডিকেট কত শক্তিশালী কারফিউ মধ্যে রাতের অন্ধকারে কিভাবে কয়লা ও পাথর পাচার করছে সেটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। এটা সম্ভব হতো না যদি শক্তিশালী কোন মানুষ এর পেছনে জড়িত না থাকতো,
আমি আগেও বলেছি মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার অনুরোধ করেছি সিবিআই তদন্ত করে কয়লা কেলেঙ্কারি এগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হোক আপনার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আমি শুনেছি সিবিআই তদন্ত চলছে কিন্তু তারপরেও কিভাবে কয়লা পাথরের গাড়ি চলাচল করছে আমি বুঝে উঠতে পারছিনা। আমি জানি দিসপুরের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এবং কাছাড়ের একজন বড় রাজনৈতিক নেতাও এর সঙ্গে জড়িত আছে যারা এই সিন্ডিকেট কে চালাচ্ছে। এদের নাম সবাই জানে আসামের সবাই জানে। কিন্তু তবুও কেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না আমি তা বুঝে উঠতে পারিনা। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল কাকে ভয় পাচ্ছেন। কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। আমি জানি বিগত সংসদ নির্বাচনে এই সুপারি এবং কয়লা কেলেঙ্কারির প্রায় দুই কোটি টাকা নির্বাচনে এক প্রার্থী কে দেওয়া হয়েছে। আমি নাম বলবনা আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে আবার অনুরোধ করছি আপনার ভাবমূর্তি রয়েছে সারা ভারতবর্ষে সেটাকে বজায় রাখতে আপনি অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
হোজাইর বিধায়ক শিলাদিত্য দেব নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে যে বিজেপি দলের একজন প্রভাবশালী নেতা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছে। প্রয়োজনে তাদের নাম ঘোষণা করবেন তারপরেও সরকার কেন নিরব। শাসক দলের বিধায়ক প্রকাশ্যে ঘোষণা করছেন এতে বিজেপি দলের নেতারা জড়িত। তারপরেও সরকার কোনো ব্যবস্থা করছেন। যদি শিলাদিত্যর কথা মিথ্যা হয়ে থাকতো তাহলে শিলাদিত্য বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরকার কিংবা দল থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি। এর আগে দিসপুরের বিজেপির বিধায়ক অতুল বরা প্রকাশ্যে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং বনদপ্তর এর ব্যাপারে মুখ খুলছেন। কিন্তু তারপরও শাসকদল নিরব। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় খুব দুঃখিত করেছে লজ্জিত করেছে এবং আশ্চর্যান্বিত করেছে কালো ব্যবসায়ীরা সক্রিয়। যেখানে মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। আর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গোপন ব্যবসা চালছে।
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি কেন্দ্রীয় সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে তিন লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে পেপার মিলের শ্রমিকদের দিন কাটাচ্ছে অভুক্ত অবস্থায়। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে তাদের বেতন দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে তাদের বেতন দেওয়া গেল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে জনসভায় বলেছিলেন নির্বাচনের পরেই পেপার মিল খোলা হবে। এই ব্যাপারে বরাক উপত্যকার নির্বাচিত সাংসদরা কেন লোকসভায় প্রশ্ন করছেন না। বিধায়করা বিধানসভায় প্রশ্ন করছেন না কেন খোলার ব্যবস্থা করার জন্য। বিজেপি দল কেন নীরব এটার জবাব চাই। প্রকাশ্যে যদি জনগণের কাছে জবাব না দেওয়া হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে তাদের কে জবাব দেবেন বরাকের মানুষ।
প্রদীপ দত্ত রায়
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকসা
ও
আইনজীবী গুয়াহাটি হাইকোর্ট ।
প্রদীপ দত্ত রায়
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকসা
ও
আইনজীবী গুয়াহাটি হাইকোর্ট ।
কোন মন্তব্য নেই