হাফলং শিক্ষা ভবনের কোয়ারিন্টাইনে থাকা ৬ জনকে সোমবার ছেড়ে দিল স্বাস্থ্য বিভাগ
বিপ্লব দেব, হাফলং ২৭ এপ্রিলঃ কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া হাইলাকান্দির ফয়জুল হক বড়ভূঁইয়ার সংস্পর্শে আসা ডিমা হাসাও জেলার ৬ জনকে আজ হাফলং শিক্ষা ভবনের কোয়ারিন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
গত ১৭ মার্চ গুয়াহাটি-শিলচর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের এস থ্রী কামরায় কভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটা হাইলাকান্দির ফয়জুল হক বড়ভূঁইয়ার সঙ্গে যাত্রা করেছিল ডিমা হাসাও জেলার তিন যুবতী ও তিন যুবক এদের ট্রেভেল হিস্ট্রি দেখে গত ৯ এপ্রিল এদের হাফলং শিক্ষা ভবনের কোয়ারিন্টাইন সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
১৩ এপ্রিল এই ছয় জনের প্রথম লালারসের টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে। সোমবার এই ছয় যুবক যুবতীর ১৯ দিনের কোয়ারিন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয় এবং আজই এদের কোয়ারিন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনে থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের ইএম স্যামুয়েল চাংসন জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম-সঞ্চালিকা ডাঃ দিপালী বর্মনের উপস্থিতিতে ছয় জনকে মুক্ত করে দেওয়া হয় কোয়ারিন্টাইন সেন্টার থেকে। ডাঃ দিপালী বর্মন জানিয়েছেন হাইরিক্সে থাকা এই ছয় যুবক যুবতীর তিনবার কভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয় এবং তিনবারই এদের রিপোর্ট নিগেটিভ আসে এবং ইতিমধ্যে এদের ১৮ দিনের কোয়ারিন্টাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় যার দরুন আজ এদের আনুষ্ঠানিক ভাবে কোয়ারিন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ডাঃ দিপালী বর্মন এদের কোয়ারিন্টাইনের ১৮ দিনের সময় সীমা পেরিয়ে গেছে তবে এদের আরো ১০ দিন হোম কোয়ারিন্টাইনে থাকতে হবে আগামী ৬ মে এদের ২৮ দিনের কোয়ারিন্টাইনের মেয়াদ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ডাঃ দিপালী বর্মন। অন্যদিকে ডিমা হাসাও মোট ৯৯৬ জনকে ২৮ দিনের জন্য হোম কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়েছিল এরমধ্যে ৫৪৬ জনের ২৮ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইনের মেয়াদ পার হয়ে গেছে এবং ১০৬ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ দিপালী বর্মন।









কোন মন্তব্য নেই