লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে অসম সফল হয়েছে, দ্বিতীয় পর্য্যযে সফলতার সঙ্গে এগোচ্ছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, রেড জোনের ৫ জেলাতে লক ডাউন শিথিল করা হবে না
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
: লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে আমরা নিয়ম নীতি মেনে সফল হয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এই মন্তব্য করে বলেন, মারণ রোগ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অসমের ৩৩ টি জেলাতে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন মেনে চলেছে। এই সংক্রমণ থেকে আজ ভারতের মানুষ সুরক্ষিত আছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কি ভয়ানক দুরবস্থা হয়েছে, তা সবাই দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা যৌথভাবে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে লকডাউন উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে অবগত করান। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চ প্রসংশা করে বলেন, দেশবাসী অসমের স্বাস্থ্য বিভাগের ভালো কাজের কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষের, চা শ্রমিকদের পাশে আছে সরকার। অত্যাবশ্যক সামগ্রীর যাতে অভাব না হয়, তা সুনিশ্চিত করেছে সরকার। তিনজন মন্ত্রীকে বরাকে পাঠিয়ে খাদ্যের মজুত ভান্ডার খতিয়ে দেখে আসতে বলা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী অতুল বরা, জল সম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত এবং খাদ্যমন্ত্রী ফনিভূষণ চৌধুরী বরাকের তিন জেলার ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মজুত ভান্ডার পর্যালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ সাংবাদিক সন্মেলন করে লকডাউন শিথিল করার পর গাইডলাইন সম্পর্কে বলবেন। ২১ এপ্রিল লকডাউন শিথিল করে জনতা ভবনে কর্মচারীরা কিভাবে আসবেন? এই প্রশ্নের জবাবে হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, কেউ যদি বলে সে নলবাড়ী বা গুয়াহাটির বাইরে থেকে আসবে কি করে? গাড়ি মোটর নেই। জবাবে মন্ত্রী বলেন, দিসপুর জনতা ভবনে কাজ করা কর্মচারীদের হেড কোয়ার্টারে থাকা উচিত। মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও হেড কোয়াটারে থাকেন। বাইরে থাকার কথা বললে তো তাদের শাস্তি পেতে হবে। প্রমান পেলে শোকজ করা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রেড জোন বা হটস্পট জোনে থাকা গোলাঘাট, মরিগাঁও, নলবাড়ি, গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়ি জেলাতে লকডাউন শিথিল করা হবে না।
কোন মন্তব্য নেই