পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বঙ্গ-অসম সীমান্ত সিল করার পক্ষে ওকালতি করেন, সীমান্ত জেলা ধুবড়িতে ১৫০ রেন্ডম টেস্ট হবে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা
বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত ৩৮৫ জন
আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে অসমে ৩৬
জন আক্রান্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের
সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ পশ্চিমবঙ্গ
সীমান্তবর্তী কোকড়াঝার, ধুবড়ি জেলা সফরে
গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই মারণ রোগ অসমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বঙ্গ-অসম সীমান্তের
ছাগলিয়াতে ৭০০ বেডের এক কয়রেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা আসবেন তাদের ওই কয়রেন্টিন
সেন্টারে কম করে ১৪ দিন থাকতে হবে। তিনি অসম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত সিল করার ওকালতি
করে বলেন,
প্রায় ৫ লক্ষ অসমের মানুষ
বিভিন্ন রাজ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে। ২৫ শতাংশ এলেও
দের লক্ষ মানুষ অসমে ঢুকবে। মন্ত্রী ধুবড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাজস্থানের কোটা থেকে ৩৮৯ জন অসমের ছাত্র বাসে
করে আসছেন। রবিবার সীমান্তের
শ্রীরামপুরে পৌঁছাবে। তাদের শারীরিক
অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য কমকরে ৫ দিন কয়রেন্টিন সেন্টারে রাখা হবে। তারপর
ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সরুসোজাই কয়রেন্টিন সেন্টারে রাখা হতে পারে। ধুবড়ি জেলায় ৫
জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। সীমান্ত জেলা
বিলাসিপাড়া, ধুবড়ি ও চাপরে ৫০ জন করে ১৫০ জনকে রেন্ডম টেস্ট করা
হবে। পরের দিন ফলাফল জানা যাবে। যদি কারো পজিটিভ ধরা পড়ে সে নিজামুদ্দিন বা গুয়াহাটি আটগাঁও মসজিদের সঙ্গে যোগ আছে কিনা,
না অন্য তা স্পষ্ট হয়ে পড়বে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রেপিড টেস্ট না করে সওয়াব বা লালা রস সংগ্রহ
করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংক্রমণ এলাকার
বাইরে, বাজার নয়, প্রধান সড়কের
ভেতরে স্থানীয় এলাকাতে দোকান পাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, এই সুযোগ অসমবাসী এখন পাবে না। ২৭ এপ্রিল
প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। সন্ধ্যায় রাজ্য ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সরকার কেন্দ্রের দোকানপাট খোলার
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।









কোন মন্তব্য নেই