স্বাধীনতা সংগ্রামী পদ্মশ্রী হেম ভরালীর দেহাবসান, পরিবারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সমবেদনা জ্ঞাপন
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : বর্ষীয়ান
মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীন গান্ধীবাদী, পদ্মশ্রী হেম ভরালী আজ আর নেই। গতকাল বিকাল ৩.৩০
মিনিটে গুয়াহাটির নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স
হয়েছিল ১০২ বছর। ভারত সরকার পদ্মশ্রী, জাতীয় সংহতি পুরস্কার আদি সম্মানে বিভূষিত
স্বাধীনতা সংগ্রামী হেম ভরালী ৪২-র আন্দোলনে কয়েকবার কারাবাসে কাটিয়েছিলেন। তিনি ‘ভূদান যজ্ঞ’-এ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে রঙিয়া সহ রাজ্যের
বিভিন্ন প্রান্তে পায়ে হেঁটে প্রচার কার্য চালিয়েছিলেন। বুনিয়াদি শিক্ষার
প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করার পর গুয়াহাটির পূব-শরণীয়ায় এসে ‘কস্তুরবা আশ্রম’ স্থাপনে অগ্রভাগ
নিয়ে গান্ধীজির বুনিয়াদি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। খাদি
গ্রামোদ্যোগ, কুটির শিল্পের মাধ্যেমে তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মহিলাদের একজোট
করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় একমাস
গুয়াহাটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিত্সাধীন হয়েছিলেন এবং মৃত্যুর দুমাস আগে
তিনি নিজের বাসভবনে ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি নিজের শরীর গুয়াহাটি মেডিক্যাল
কলেজ ও হাসপাতালকে দান করে দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে অসম সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ
সঞ্চালকালয়ের সঞ্চালক অনুপম চোধুরী, নিখিল ভারত মুক্তিযুঁজারু সমিতির উপসভাপতি তথা
অসম অলমৃৃসম রাজ্যিক মুক্তিয়ুঁজারু সম্মেলনের সভাপতি কৃষ্ণ লহকর গভীর শোক প্রকাশ
করেন। প্রখ্যাত গাঁধী নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও পদ্মশ্রী পুরষ্কার হেম ভরালি মারা যাওয়ার সংবাদ শুনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। টুইট করে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।









কোন মন্তব্য নেই