কোভিড ১৯ সংক্রমণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনতা ভবনে প্রায় ৬০০ কর্মচারি অফিস করলেন, মুখ্যমন্ত্রী করলেন ভি ডি ও কনফারেন্স, সরকারি ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

অমল গুপ্ত : দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে লাগাম টানা যায়নি। আজ পর্যন্ত ৬০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে ২৫ লক্ষ আক্রান্ত। ১ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু আমেরিকা থেকেই ৪২ হাজারের মৃত্যর খবর পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন্দ্র সিং আজ মণিপুরকে করোনা মুক্ত রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করেন। মাত্র দুজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দুজনেরই নেগেটিভ ধরা পড়েছে। অসমে ৩৪ জন পজিটিভ, ১ জন মারা গেছেন। ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে আজ দাবি করেন। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে ও মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণর নীতি নির্দেশিকা মেনে জনতা ভবন, বিধানসভার কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ২৮ দিন বাদ অফিসে গেলেন। তবে রেড জোনের ৫টি জেলাতে লগ ডাউন শিথিল করা হয়নি। আজ জনতা ভবনে ৩ হাজার ২০০ কর্মীর মধ্যে ৬০০ কর্মী সরকারি বাসে করে জনতা ভবনে যান।  এ এস টি সি-র ১৬টি বাসে করে কর্মচারীরা যান। বাসগুলিকে স্যানিটাইজ করে দূষণ মুক্ত করা হয়। জনতা ভবনের গেটে কর্মচারীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর  মাস্ক পরে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পান। নির্দেশ মেনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৩ শতাংশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ১০ জন উপস্থিত কর্মীর মধ্যে ৫ জন কাল আসবেন না। যারা আজ আসেননি তাদের মধ্যে ৫ জন আসবেন এভাবে রোস্টার মেনে ৩ মে পর্যন্ত অফিস চলবে। বিধানসভার কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল সকালে গুয়াহাটি উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে কামরূপ মেট্রো কার্য্যলয়ে যান। বিকেল চারটায় জনতা ভবনে গিয়ে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে লকডাউন ও করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের ত্রাণ কাজের ক্ষেত্রে গরিব মানুষরা যাতে বঞ্চিত না হন তা সুনিশ্চিত করতে বলেন। এবং সরকারি ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অসৎ উপায় অবলম্বন করে কিছু ব্যাক্তি ত্রাণ সামগ্রী লুট করছে বলে অভিযোগ এসেছে। তাদের কড়া শাস্তি দেবার নির্দেশ দেন। জনতা ভবনে পদস্থ অফিসাররা উপস্থিত থাকলেও মন্ত্রীদের উপস্থিতি ছিল না। বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী ও উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর উপস্থিত ছিলেন না। আজ লকডাউন কিছু শিথিল করা হলেও গুয়াহাটি মহানগরে বহু যানবাহন পথে নেমেছিল। ফেন্সি বাজার, গনেশগুড়ি, উলুবাড়ি, বামুনিময়দান প্রভৃতি এলাকায় লকডাউন ভঙ্গকারিদের সংখ্যা বেশি ছিল। বহু গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বরাকের শিলচর ও হাইলাকান্দিতে অনেক জায়গায় লকডাউন মানা হয়নি বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে।