Header Ads

লকডাউনে একের পর এক বই লিখছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
লকডাউনে অফুরন্ত সময়। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে। লকডাউন নিষেধাজ্ঞার জেরে পার্টি অফিসে যাওয়ার দায় নেই। মাঝে মাঝে ত্রাণ বিলির কাজে কিছুটা সময় ব্যয় হলেও, দিনে-রাতের বাকি সময় তো পড়েই রয়েছে। সেই সময়েই ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাজনৈতিক নেতারা। যেমন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একের পর এক বই লিখে চলেছেন তিনি।
'রাজভবনের অন্দরমহল'--এই বইটির লেখা প্রায় বছর খানেক আগে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু সময়ের অভাবে সেই বই লেখা এতদিন শেষ করতে পারেননি। কিন্তু লকডাউনই সেই সুযোগ এনে দেয়। 
 
লকডাউনের মাত্র প্রথম ১২ দিনে এই বইটি লেখা শেষ করেছেন ! বইটিতে থাকছে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী থেকে শুরু করে জগদীপ ধনকর, মোট চার রাজ্যপালকে নিয়ে নানা কথা। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই থাকছে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে ঘিরে। বইটিতে রাজ্যপালদের স্বভাবের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।
'দশনেতার দশ কাহন' নামে নতুন আরও একটি বই লেখার কাজে হাত লাগিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বইটির নাম ‘দশ নেতার দশ কাহন’। টার্গেট আগামী বইমেলায় বইটি প্রকাশ করার। বইটির মূল বিষয় নিজের রাজনৈতিক জীবনে দেখা বিভিন্ন নেতাদের কথা। এই বইয়ে যেমন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি থাকছেন, ঠিক তেমনই থাকছেন সোমেন মিত্র। অবশ্যই বইটির অন্যতম চরিত্র হিসেবে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লেখায় থাকবেন সৌগত রায়, পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কি দীর্ঘ সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ থাকা সিপিএম নেতা হাসিম আব্দুল হালিমও। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথা চলা নিয়ে বই লিখেছিলেন।
এদিকে তাঁর বই লেখা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়াতেই রসিকতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ বলছেন বইয়ের নাম কেন হবে না ‘ঘাসফুলের অন্দরে কাটমানি’, কেউ বলছেন, ‘বাঁশের নাম স্কুল সার্ভিস’ হবে না কেন, কিংবা ‘উন্নয়নের চোরাবালি’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে বেশিরভাগ ফেসবুক পোস্টেই কাটমানির কথাই উঠে এসেছে বেশি করে !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.