গরিব দুস্থ, রেশন কার্ডহীনদেরও বিনামূল্যে ৫ কেজি চাল দেবে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
৭৫ হাজার পরিবারের কাছে
অসম পুলিশ ঔষধ পৌছিয়ে দিয়েছে : ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত
অমল গুপ্ত : কাল থেকে লকডাউনের মাঝেই জনতা ভবন, সচিবালয়, বিধানসভার কার্যালয়, জেলার ডেপুটি কমিশনার ও মহকুমাধিপতির কার্যালয় দি এপিডমিক ডিজিজ আইন ১৮৯৭
এবং দি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ২০০৫-এর নিয়ম নীতি মেনে শুরু হবে। কোভিড ১৯
মারণ রোগের সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৩ শতাংশ কর্মচারী, প্রথম ও দ্বিতীয়
শ্রেণির কর্মী, অফিসাররা জরুরি
প্রয়োজনে জনতা ভবন, বিধানসভার কার্যলয়ে
যাবেন। জেলাগুলোতে ডেপুটি কমিশনাররা মুখ্যসচিবের গাইডলাইন মেনে ব্যবস্থা নেবেন। মুখ্যসচিব
কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও পুলিশ প্রধান ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন
ডেকে রাজ্যবাসীর কাছে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি ও লকডাউনের নিয়মনীতি বুঝিয়ে
বলেন। বিধানসভার প্রধান সচিব মৃগেন্দ্র কুমার ডেকা জানান, আজ থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রাথমিক
পর্ব শুরু হয়ে গেছে। ডি জি পি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেন, লকডাউন শিথিল মানে সব খুলে দেওয়া নয়, অর্থনীতি সবল করার জন্য কিছু নিয়ম-নীতি বলবৎ
করা। রাস্তাঘাটে ব্যাক্তিগত পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। বাইকে মাত্র একজন, গাড়িতে মাত্র চালক সহ একজনকে
অনুমতি দেওয়া হবে। পথে বেরোনোর জরুরি কারণ জানাতে হবে। রাস্তায় থুথু, পানের পিক ফেলা, যেখানে সেখানে প্রস্রাব করা, পান মসলা, গুটকা খাওয়া, ধূমপান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়বে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সকলকে সামাজিক
দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ৫ জনের বেশি জমায়েত চলবে না। ডিজিপি মহন্ত জানান, নিয়ম ভাঙার জন্য ২৫ হাজার বাইক বাজেয়াপ্ত করা
হয়েছে। বিনা কারণে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়াবেন না নতুবা পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিতে
বাধ্য হবে বলে বাইক আরোহীদেরকে হুঁশিয়ারি করে দিয়ে ডিজিপি বলেন, আইন ভাঙলে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত জেল
জরিমানা দুটোই হবে। মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ আগামীকাল সরকারি
কার্য্যলয় খোলার নিয়ম নীতির কথা জানান। জনতা ভবনে যাওয়ার জন্য বাস দেওয়া হবে। ৬০টি আসন সম্পন্ন বাসে সামাজিক দূরত্ব বজায়
রাখার জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন যাবে। ব্যাক্তিগত গাড়ির অনুমতি দেওয়া হবে না। বাইরের মানুষ জনতা ভবনে যেতে পারবে না।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কর্মীকে মাস্ক
ও স্যানিটাইজ করে সামাজিক
দূরত্ব মেনে চলতে হবে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত এই নিয়ম বিধি চলবে।
মুখ্যসচিব জানান, রাজ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসষ্য মজুত আছে। এফ সি আই-এর
গোডাউনে উপযুক্ত পরিমাণে চাল আছে। ডাল, তেল, চিনি, লবনও আছে। মাছ,
সবজির অভাব নেই। তিনি
জানান, প্রায় ৪৫ হাজার
অসমের মানুষ বাইরের রাজ্যে আটকা পড়ে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের
সঙ্গে কথা বলে অসমের মানুষের অসুবিধা দূর করার অনুরোধ করেছেন। ডিজিপি মহন্ত বলেন, ৭৫
হাজার পরিবারের কাছে অসম পুলিশ ঔষুধ পৌছিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল
আজ এফ সি আই-এর সব গোডাউনে গিয়ে খাদ্যর মজুত ভান্ডার দেখেন, সঙ্গে মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যও ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী
অতুল বরা আজ এশিয়ার মধ্যে বড় গোয়ালপাড়া জেলার দরংগিরি কলাক্ষেত্র দেখতে যান। তিনি
জানান, দিল্লির আজাদ মার্কেটে এই কলা রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিদিনের মত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ সাংবাদিকদের জানান, দিল্লির নিজামুদ্দিনের মানুষ অসমে এসে করোনা রোগ
না ছড়াতেন তবে অসম অনেক সেফ থাকতো। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতর কথা চিন্তা করে ১৪৪১ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে বলে রাতে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই