২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল আবদ্ধ মানুষরা নিজের নিজের ঘরে যেতে পারবেন, ১৯ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : কোভিড ১৯-এর ফলে দেশে লকডাউন চলাকালীন বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ
রয়েছে এবং লকডাউন কবে নাগাদ খুলবে তা কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে নির্ভর করবে। অসমে
এখন পর্যন্ত ৫৭৮৯ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ২১৪ জনের ফলাফল এখনও জানা
যায়নি। ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল, একজন মারা গেছে, ১৯ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন
বলে জানা গেছে।
আগামী
২৫ এপ্রিল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে যেসব সাংবাদিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান
তার জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, সারা বিশ্বে
৭ শতাংশ হারে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে, ভারতে ৩.২ শতাংশ হারে এবং অসমে ২.৯৪ শতাংশ
হারে সংক্রমিত হচ্ছে। যেসব মানুষ সারা রাজ্যে আবদ্ধ হয়ে আছেন, তারা ২৫, ২৬ ও ২৭
এপ্রিল এই তিন দিন তাদের নিজের নিজের ঘরে বা অফিসে যেতে পারবে তবে ডেপুটি
কমিশনারের পারমিশন নিয়ে যেতে হবে। আর রোগীরা যে কোনো সময়ই যেতে পারবেন বলে জানা
গেছে। বিদেশে পরা ১ লক্ষ ২ হাজার ৭২ জন ভারতীয় আটকা পরে আছেন। তাদের অসম সরকারের
পক্ষ থেকে তাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছে দেওয়া হয়েছে। ২৫, ২৬ এপ্রিল যারা
নিজের নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন এবং তাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থতা বোধ করেন তবে ১০৪
নম্বরে ফোন করে পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
লকডাউনের প্রতি লক্ষ্য রেখে বেসরকারি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বা অফিস দপ্তেরর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি জারি করা হয়েছে। বেসরকারি
স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের থেকে মাশুল ৫০ শতাংশ নিতে হবে এবং যদি মাশুল নেওয়া হয়ে গেছে
তবে তা আগামী মাসে মাশুল আধা নিতে হবে এবং বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন যেন কাটা না
হয়।
প্রকাশ জাভরে কর আজ দিল্লিতে এক অর্ডিনেন্স
জারি করার কথা জানান। এই অর্ডিনেন্স অনুযায়ী ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের
উপর হামলাকারীদের তিন মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার
ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্সদের ৫০ লক্ষ টাকা জীবন বীমা করার ব্যবস্থা করা
হয়েছে বলে জানা গেছে।









কোন মন্তব্য নেই