Header Ads

কেন্দ্রের নীতি নির্দেশনা মেনে অসমে লকডাউনের সময় সীমা স্থির হবে, আরো ১৪ দিন লকডাউনের পক্ষপাতি রাজ্য, তবে কিছু শিথিল করে, মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে, আজকে সর্বদলীয়, ক্যাবিনেট কমিটির প্রস্তাব



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের পুরাহিত্যে আজ সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন চলেছে,  তা পুনরায় বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচণা হয়। অসম সরকার কেন্দ্রীয় সরকার যে সিন্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে, কেন্দ্র আরো ১৪ দিন লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে ওকালতি করেছে। আজ শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী কেন্দ্রের নীতি নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে জানালেন। অসম সরকার আম জনতার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পুরোপরি লকডাউন না করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু শিথিলযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সর্বদলীয় বৈঠকের পর কেবিনেট কমিটির বৈঠকে রাজ্যকে রেড, গ্রীন, অরেঞ্জ জোনে ভাগ করে জেলার মানুষের জন্যে কিছু নিয়ম কানুন বেঁধে দেবার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। চা বাগান, কৃষিক্ষেত্রে কাজ চলবে, সীমিতভাবে ব্যবসা-বানিজ্য চলবে। তবে হোটেল রেস্তোরা, শপিংমল,  সেলুন, জিম, সিনেমাহল, পার্ক, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি বন্ধ রাখা হতে পারে। আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত  কংগ্রেস, এই আই ইউ ডি এফ, অগপ, বি পি এফ,  সি পি এম, সি পি আই, সি পি আই এম এল, তৃণমূল কংগ্রেস, আর জে ডি এন সি পি, বিজেপি প্রভৃতি দল সরকারের স্থিতিকে সার্বিকভাবে সমর্থন করেন। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ যে সব যুদ্ধকালীন জরুরি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তার প্রতিপূর্ন সম্পূর্ণ সমর্থন জানান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া, এ আই ইউ ডি এফের আমিনুল ইসলাম, হায়দর হোসাইন বরা, হাফিজ বশির আহমেদ, বিজেপি রণজিৎ দাস, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা,  মন্ত্রী কেশব মহন্ত, মন্ত্রী অতুল বরা,  সাংসদ নব সরোনিয়া, সাংসদ বিশ্বজিৎ দৈমারী, ইউ পি পি এলের প্রমোদ বোরো, রকিবুল হোসাইন, মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা হৃশিকেশ গোস্বামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ আই ইউ ডি এফের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, করোনা ভাইরাস চিকিৎসার নামে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ নেই, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনা আক্রান্তদের নাম ধাম গোপন রাখার পরামশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য মানেনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ লকডাউন চলার সময় গরিব শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানান। আগামী ২৭ এপ্রিল বি টী সি-র সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। সময় সীমা বৃদ্ধির দাবি জানান বি পি এফের নেতারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.