Header Ads

মরিগাঁওেয়র ডিসি, এসপি ও সাংবাদিক সহ ১৫ জন কোয়ারাইন্টনে আছেন



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ করোনা সংক্রমণ ও উদ্ভূত পরিস্থিতর জন্য মরিগাঁওেয়র ডিসি, এসপি এবং কয়েকজন সাংবাদিক সহ মোট ১৫ জন কোয়ারাইন্টনে গিয়েছিলেন। কোভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসার জন্যই আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে কোয়ারাইন্টনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ডিসি ও এসপি সেল্ফ কোয়ারাইন্টনে এসে এক বার্তায় বলেছেন যাতে অন্যান্যরাও এগিয়ে এসে কোয়ারাইন্টন নেয়।
বৃহস্পতিবার মরিগাঁও জেলায় দুজন ব্যক্তি করোনা পজিটিভ ধরা পরেএকজন ভূরাগাঁওয়ের সামসুল আলম স্থানীয় জামাতের নেতা ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন এবং মার্চ মাসের ১০ তারিখে ফিরে আসে। ১১ মার্চ তিনি গুয়াহাটিতে রাত কাটায়। ভূরাগাঁওয়ে ফিরে যাওয়ার পূর্বে তিনি আঠগাঁও কবরস্থান মসজিদের প্রার্থনাতে অংশগ্রহণ করেন।
করোনা পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকদের সন্ধান খোঁজ করতে সহযোগিতা করেছিলেন সামসুল। তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন, মরিগাঁওয়ের মোট ৫২ জন লোক নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। তিনি জেলার এসপি ও ডিসি-র সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে নিজামুদ্দিনে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান দিয়েছিলেন।
প্রথম টেষ্টে সামসুল নিজে নেগেটিভ বেড়োয় যদিও ১৭ এপ্রিলে দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ ধরা পরে। তখন থেকে তিনি কোয়ারাইন্টনে ছিলেন এবং বর্তমানে তার স্বাস্থের অবস্থা ভালো এবং তার পরিবারের কেউই পজিটিভ নয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে সামসুলের পুত্র ভূরাগাঁওয়ের মসজিদের ইমাম ও তিনি নিজে কোয়ারাইন্টনেই আছেন।
জেলা স্বাস্থ্য প্রধান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সকলকে আহ্বান জানান। এই সতর্কতার জন্য ডিসি, এসপি ১৪ দিনের জন্য সেল্ফ কোয়ারাইন্টন নেয় যেহেতু তারা সামসুলের সংস্পর্শে এসেছিলেন। নিজের কর্তব্যের ফলে সংস্পর্শে আসা লাহরীঘাটের সার্কল ইন্সপেক্টর ও কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকরাও একইভাবে আইসোলেশনে গিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.