Header Ads

ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর কল্যাণেই গঠিত হয়েছিল উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদ, সিইএম

বিপ্লব দেব, হাফলং ৩০ এপ্রিলঃ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে সরকারের নীতি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার আহ্বান জানান উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা। তিনি বলেন লকডাউনে সমস্যা হবে ঠিকই কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে লকডাউন মেনে চলতে হবে সবাইকে। 

বুধবার ছিল পার্বত্য পরিষদের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। কিন্তু করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্ব জুরে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে এমনকি ভারতে ও করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঘটনা প্রতিদিন বেড়ে চলছে দরুন সমগ্র দেশ জুরে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন তাই এবছর উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়নি। তাই বুধবার বিকেলে পরিষদ সচিবালয়ের সিইএম কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে সিইএম দেবোলাল গার্লোসা বলেন সমগ্র বিশ্ব জুরে এই সঙ্কটময় মূহুর্তে আমরা সবাই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ডিমা হাসাওয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে লড়াইয়ে যে ভাবে জেলার সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ত্রান সামগ্রী বন্টন করা থেকে সিইএম রিলিফ ফান্ডে যে ভাবে সাহায্য প্রদান করেছেন তার জন্য আজকের দিনে আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ আমরা ঠিকই পার্বত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে পারিনি সে জন্য যে রকম দুঃখ হচ্ছে ঠিক সে ভাবে অতিমারি করোনা ভাইরাস যে ভাবে সমগ্র বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলেছে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমনে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনা দায়ক। 

এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে সিইএম বলেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ৬৯ বছরে পা দিয়েছে। এবং আমাদের দেশের সবচেয়ে পুরনো স্বশাসিত পরিষদ হচ্ছে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ। এবং ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর কল্যানে ও ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালে ষষ্ট অনূসূচির অধীনে এই স্বশাসিত পরিষদ গঠন হয়েছিল। তবে গত ৬৯ বছরে এই পাহাড়ি জেলায় তেমন উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করে দেবোলাল গার্লোসা বলেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল ও মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কল্যানে আজ পাহাড়ি জেলায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন বিজেপি পার্বত্য পরিষদে ক্ষমতায় আসার লঙ্কু জল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এপিজিসিএলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫ শতাংশ পাবে পার্বত্য পরিষদ তাছাড়া ডিমা হাসাও জেলায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু হলে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদে ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আসবে। তিনি বলেন বিজেপি শাসন ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য পরিষদের নর্মাল সেক্টরের কর্মচারীর ৯ মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়। দেবোলাল গার্লোসা বলেন শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পানীয়জল বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে পার্বত্য পরিষদ। তিনি বলেন জেলায় অনেক অবৈধ কাঠের মিল গড়ে উঠেছিল। পার্বত্য পরিষদ এসব মিল বন্ধ করে দিয়েছে কারন এই অবৈধ মিল গুলির জন্যই জেলার বনজ সম্পদ ধংস করা হচ্ছিল অবাধে  গাছ কেটে ফেলা হচ্ছিল প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করা হচ্ছিল যার দরুন পাহাড়ে জলের সমস্যা হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ধংসের ফলে জলের উৎস স্থল গুলিয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে জলের সমস্যা সমাধানে সিগ্নেচার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রেটজলে  ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প তৈরি হবে। তিনি বলেন এই প্রকল্প সম্পূর্ন হয়ে গেলে হাফলং শহরে ৫০ শতাংশ জলের সমস্যা মিটে যাবে। জোরাই গ্রামে ও  জলের অন্য এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এছাড়া জলের সমস্যা দূর করতে হাফলঙের পার্শ্ববর্তী তপডিসাতে একটি ডেম তৈরি করা হবে বলে সাংবাদিক সন্মেলনে মন্তব্য করেন সিইএম দেবোলাল গার্লোসা। এদিন পার্বত্য পরিষদের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সাবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিইএম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.