মমতার দাবি মানলেন মোদী, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে ১৭ হাজার কোটি অনুদান !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৫ হাজার
কোটি টাকা অনুদান চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের মাথায় সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্যের জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক। শুধু বাংলার জন্য নয়, দেশের ১৪টি রাজ্যের জন্যই এই টাকা অনুমোদিত হল।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যগুলির আর্থিক সংস্থান বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাজ্যকে ১৭,২৬৭.০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি রাজ্যকে ১৫তম ফিনান্স কমিশনের সুপারিশের অধীনে 'রাজস্ব ঘাটতি অনুদান' হিসাবে ৬,১৯৫.০৪ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যে রাজ্যগুলিতে করোনা মোকাবিলায় এই টাকা অনুমোদন করা হল, সেই রাজ্যগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচলপ্রদেশ, কেরালা, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ।
এখানে উল্লেখ্য, ১১,০৯২ কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে এসডিআরএমএফের প্রথম কিস্তির কেন্দ্রীয় শেয়ারের অগ্রিম অর্থ হিসাবে প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। কোনওরকম উপার্জন আসা বন্ধ। প্রতি রাজ্যেই প্রভাব পড়েছে এই লকডাউনের। বাংলাতেও তার অন্যথা হয়নি। টান পড়ে গিয়েছে বাংলার ভাঁড়ারে। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিলেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত। নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রকল্প-- সব কিছুই বন্ধের নিদান দিলেন মমতা।
এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মোট পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নিলেন। নতুন নিয়েগ বন্ধ ও নতুন প্রকল্প স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মূলত খরচে লাগাম দিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন, সেগুলি হল- এক, নতুন নিয়োগ বন্ধ করা। দুই, নতুন প্রকল্প এখন গ্রহণ করা হবে না। তিন, গাড়ি-কম্পিউটার-ফার্নিচার কেনা যাবে না। চার, গাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং পাঁচ, জিপিএফ থেকে কেবলমাত্র শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিবাহ খাতে টাকা তোলা যাবে।
এর পাশাপাশি আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে একটি। তা হল সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন, কন্যাশ্রী-সহ অন্যান্য প্রকল্পের খাতে বরাদ্দ বন্ধ করা হবে না। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারও বেতন বন্ধ হবে না। পেনশনও বন্ধ হবে না। বন্ধ হবে না কোনও ভাতাও। সবাইকে সঠিক সময়ে বেতন-পেনশন-ভাতা দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই