মা দূর্গাও করোনাকে ভয় পেয়ে গেছেন
নকুল রায়, গুয়াহাটি : বাঙালিদের একমাত্র সেরা উৎসব দূর্গা পূজা,
যেটা বছরে একবারই আসে বাঙালিদের জীবনে। এই দূর্গা পূজার জন্য ভারবর্ষ সহ পৃথিবীর প্রতিটি
দেশে উপস্থিত হিন্দু-বাঙালিরা ৮ থেকে ৯ মাস অপেক্ষা
করে থাকেন। কারণ সকলেই মানেন, মা দূর্গা যখন মর্তে আসবেন তখন দুষ্ট শক্তির নাশ করে
শুভ শক্তির স্থাপনা করে যাবেন। সকলের দুঃখ-কষ্ট দূর করে সুখ ও সমৃদ্ধি দিয়ে যাবেন।
আর বিশেষ করে এই দূর্গা পূজা গরিবদের জন্য চার/পাঁচ দিনের এক আনন্দের জোয়ার নিয়ে
আসে। কারণ তারা এই পুজোতেই নতুন বস্ত্র দিয়ে শরীর ঢাকার জন্য চাতক পাখির মতো আশায় করে
থাকেন। শুধু তাই নয়, মা দূর্গাকে আমরা শক্তির দেবী বলে সকলেই জানি। শাস্ত্র
অনুযায়ী, প্রাচীনকালে কোনো যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার জন্য সেই মা দূর্গাকে আরাধনার মাধ্যমে
প্রসন্ন করা হতো এবং মা দূর্গা প্রসন্ন হয়ে স্বয়ং এসে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার বরও
দিতেন। কিন্তু আজ বাঙালির সেরা উৎসব দূর্গা পূজা করোনা ভাইরাসের আক্রমণের ফলে পিছিয়ে
যাচ্ছে। শক্তির আরাধ্য দেবী মা দূর্গা আজ করোনাকে ভয় পেয়ে গেছেন। তাই মা দুর্গা এবছর
সঠিক সময়ের বদলে দেরীতেই বুঝেশুনে মর্তে পা ফেলবেন। এবার নববর্ষে ১৪২৭ পয়লা বৈশাখে
আম জনতা মায়ের দর্শন পেলেন না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বেন্দোপাধ্যায়
আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এবার মায়ের দর্শন হল না। এবার মা দুর্গাও সম্ভবত করোনা
ভাইরাসের রোগকে ভয় পেয়ে গেছেন। মা দূর্গা এবার মর্তে দেরী করে আসবেন। এবার মহালয়ার
পর ৩৫ দিন বাদে মা দুর্গা মর্তে আসবেন। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও
বিশ্বকর্মা পূজাও একই দিনে পড়েছে। কালী পূজা ১৪ নভেম্বর। মনে হচ্ছে দেবদেবীরাও
এবার করোনা ভাইরাসের আক্রমণকে ভয় পেয়ে গেছেন।
কোন মন্তব্য নেই