Header Ads

‘জনতা কাৰ্ফু’ করোনা ভাইরাসের চেন ভেঙ্গে দেবে, পথে মানুষ খুঁজে পাবে না

অমল গুপ্ত

একশো বছর ব্যবধানে পৃথিবীতে মহামারী, বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে, ১৭২০ সালে প্লেগ, ১৮২০ কলেরা, ১৯২০ সালে ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা, এবার ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ জীবাণু। বিশ্বের ১৭৫ টি দেশকে আঘাত করেছে। এ পৰ্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে এ পৰ্যন্ত ২৭১ জন আক্রান্ত হয়েছে, ৫ জন মারা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, ২২ মার্চ থেকে আর্ন্তজাতিক বিমান চলাচল বন্ধ, বাইরের কোনও মানুষ আর এই রাজ্যে আসবে না। যারা এসেছে তাদের হোম কোয়ারিন্টাইনে, হাসপাতালে   সরকারের নজরে আছে। বাইরের রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাদের হাতে স্ট্যাম্প মারা হচ্ছে। ১৪ দিন পৰ্যন্ত কঠিন সময়, তাই আগামী ৫ এপ্রিল পৰ্যন্ত রোগ ধরা না পড়লে, অসম বেঁচে যাবে। আগামীকালের প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘জনতা কার্ফু’ সফল করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। 

 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল 
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান করা ‘জনতা কার্ফু’ সফল করার জন্যে রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন বলেছে, জ্যামিতিক হারে এই রোগ বাড়ছে, চেন সিস্টেমে বেড়ে চলছে, সোশ্যাল ডিস্টানসিং বা মানুষের সঙ্গে মানুষের মধ্যে অন্তত ১ মিটার ব্যাবধান থাকা জরুরি। কাল রবিবার সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পৰ্যন্ত ১৪ ঘন্টা বন্ধ থাকলে মানুষ ঘর থেকে বেরোবে না, জমায়েতে যাবে না, ১৪ ঘন্টা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ   সম্পূৰ্ণ বন্ধ থাকবে, সোশ্যাল ডিসটেন্স বা মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব করোনা ভাইরাসের চেন ভেঙে পড়বে। মারণ এই ভাইরাস ১২ ঘন্টা পৰ্যন্ত অ্যাকটিভ থাকে, ফলে ১৪ ঘন্টা মানুষের মধ্যে ব্যবধান থাকলে চেন ভাঙা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস রোগ বৃহৎ গোষ্ঠীর রোগ, একই সঙ্গে সবার দেহে সংক্রমিত হয়। স্টেজ ওয়ান এই মারাত্মক জীবাণুকে আটকে রাখা গেছে। ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে,  মানুষ গোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমিত হয়নি।  রবিবার কোভিড ১৯ ভাইরাস কোনও গোষ্ঠীকে ছুঁতে পারবে না, ১৪ ঘন্টা মানুষের জমায়েত থাকবে না।
 প্রধানমন্ত্রীর আহবান সফল হলে, পরিস্থিতি অবনতি হলে পুনরায় হয়তো এই কার্ফুর ডাক দেওয়া হতে পারে। আজ থেকে অসমে সরকারি অফিসে ৫০ ভাগ কর্মীর উপস্থিতি, বিটিসি নির্বাচন বন্ধ, সারা অসম বনধ-এর রূপ নিয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ব্যবধান রাখার সরকারি আবেদন কম বেশি সফল। কাল রবিবার বিশ্বত্রাস করোনা ভাইরাসের চেন ভেঙে পড়বে এই রোগ মানুষের দেহে বাসা বাঁধার মানুষকেই খুঁজে পাবে না। কারণ ১৪ ঘন্টা পথে একজন মানুষও থাকবে না। সরকার নয় আমাদের বৃহত্তর স্বাৰ্থে আমাদের এই ‘জনতা কার্ফু’কে সফল করতে হবে, নতুবা মানবতার সংকট থেকে মুক্ত হতে পারবো না।












কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.