Header Ads

১০০ বছর অন্তর প্রতি ২০ সালেই ফিরে আসে মহামারী, কিন্তু কেন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
প্রকৃতি কি প্রতি শতাব্দীতেই একবার করে এইভাবে ফুঁসে ওঠে? ২০২০-তে করোনা নামক মহামারীর মুখোমুখি হয়ে এমনই জিজ্ঞাসা প্রতিটি মানুষের। কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, প্রতি ১০০ বছর অন্তর ফিরে আসে মহামারী। প্রতি শতাব্দীর ২০ সালে ঘটে যায় এমন এক ঘটনা, যার মাশুল দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতি ১০০ বছর অন্তর ফিরে আসে কিন্তু কেন প্রতি ১০০ বছর অন্তর ফিরে আসে বিশ্বব্যাপী মহামারী? তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রতি ১০০ বছর অন্তরই ঘটে চলেছে এই ঘটনা। অন্তত পরপর চার-পাঁচটি শতব্দীর ২০ সালে এই ধরনের মহামারী বা মড়কের ঘটনা ঘটেছে, যা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। 
 
১৭২০ সাল--১৭২০ সালে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল প্লেগ। বিউবনিক প্লেগ নামে এই রোগের উৎস ছিল মার্সেইল। ক্রমেই এই বিউবনিক প্লেগ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আদতে তা পরিণত হয় ‘গ্রেট প্লেগ অফ মার্সেইল'-এ। একে আবার অনেকে ব্ল্যক ডেথ বলেও নাম দিয়েছিল।
১৮২০ সাল--এর ঠিক এক বছর পরই ১৮২০ সালে মহামারীর আকার নেয় কলেরা। এই কলেরার জেরে গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয় চার কোটি মানুষের। মূলত চিন, রাশিয়া ও ভারতে এই কলেরা রোগের প্রকোপে এত লোকের প্রাণ যায়। অন্যান্য দেশেও প্রভাব পড়ে মহামারী কলেরার।
১৯২০ সাল--১৯২০ সালে থাবা বসায় স্প্যানিশ ফ্লু। দু-বছর ধরে এই মহামারী চলে। ১৯১৮ সালে শুরু হয়ে ১৯২০ সাল পর্যন্ত এই ফ্লুয়ের জেরে মৃত্যু হয় চার কোটি মানুষের। হু জানায়, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি প্রায় ৫ কোটি। এই মহামারীতে বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন, যাঁদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর।
এই স্প্যানিশ ফ্লুতে রেহাই পায়নি আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলিওে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, মৃতদেহ একসঙ্গে নিয়ে গণসৎকার করা হয়েছিল। শ্মশানে পরিণত হয়েছিল একটার পর একটা দেশ। সেই অবস্থা থেকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা অনেক কঠিন কাজ হয়ে উঠেছিল।
তারপর এই ২০২০। আবারও আবির্ভূত এক মহামারী। নাম নভেল করোনা ভাইরাস। চিনের উহানে উৎসের পর ইতালি, আমেরিকা-সহ বহু দেশেই থাবা বসিয়েছে করোনা। এমনকী ভারতও ছাড় পায়নি এই মহামারীতে। যাতে এই ত্রাস মহামারীর আকার না নেয়, তার জন্য লড়াই চালাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.