Header Ads

এইডস ও ম্যালেরিয়া ওষুধের সংমিশ্রণেই রাজস্থানে সেরে উঠলেন কোভিড–১৯–এর তিনজন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১১৪ জন ও মৃতের সংখ্যা দুই। ধীরে ধীরে এই মহামারি সংক্রামক দেশকে নিজের গ্রাসে নিয়ে নিচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলিও নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পেলেই সেই রোগীদের চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব করছে না। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের বাজারে যখন সকলেই ভয়ে তটস্থ হয়ে রয়েছে, তখন রাজস্থানের জয়পুরের সাওয়াই মানসিং হাসপাতাল আশার আলো দেখালো।

১৬ মার্চ এই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে চার জনের মধ্যে যে তিনজনের শরীরে পজিটিভ কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তাঁরা এখন সুস্থ রয়েছেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ম্যালেরিয়া, এইচআইভি এবং সোয়াইন ফ্লু ওষুধের সংমিশ্রণে রোগীদের চিকিৎসা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব রোহিত কুমার সিং জানান, ওই তিন রোগীদের দিনে দু'‌বার ২০০এমজি করে লোপিনাভির ও ৫০এমজি করে রিটোনাভিরের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এগুলি ছাড়াও ওসেলটামিভির এবং ক্লোরোকুইনও দেওয়া হয়েছিল। এটি পূর্বের ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ড্রাগ এবং পরে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
৬৯ বছরের ইতালিয় নাগরিক ও তাঁর ৭০ বছরের স্ত্রী এবং ৮৫ বছরের জয়পুরের বাসিন্দার দেহে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসার পর ওই তিনজনকে তিনবার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। যদিও এখনও তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি। দু'‌জন পুরুষকে জয়পুরের হাসপাতালেই নজরবন্দী রাখা হয় এবং মহিলাকে রাজস্থান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে রাখা হয়েছে।
এদিকে ২৪ বছরের স্প্যানিশ নাগরিকের চিকিৎসা চলছে এসএমএস হাসপাতালে। এসএমএস হাসপাতালের সাফল্যের পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইটারে চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানান। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উপদেশকে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে জানান যে জনবহুল এড়িয়া ও বড় সমাগমের জায়গা এড়িয়ে চলার জন্য।
এইচআইভির জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় লোপিনাভির ও রিটোনাভির। এই দুই ওষুধের ডোজ ব্যবহার করা হয়েছিল ৫৪ বছরের দক্ষিণ কোরিয়ার এক ব্যক্তির শরীরেও এবং তিনিও বেশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছিল যে এই দু'‌টি ওষুধের উপকারিতা কিছু থাকলেও থাকতে পারে করোনা ভাইরাস নিরাময়ে। ক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হয় ম্যালেরিয়ার জন্য। এই ওষুধটি ৭০ বছর ধরে অত্যন্ত নিরাপদের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। তবে চিকিৎসা চলাকালীন এটা প্রমাণিত হয়েছে যে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এই ওষুধ বেশ কার্যকর। বর্তমানে এখনও এই রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তাই রাজস্থানের চিকিৎসকদের দেখানো পথে দেশের অন্য চিকিৎসকরাও হাঁটতেই পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.