Header Ads

হাফলঙে সরকারি নিয়ম নীতি অমান্য করে রাস্তায় ছুটির আমেজে মানুষ, করোনা ভাইরাস নিয়ে সজাগতা নেই মানুষের মধ্যে

  বিপ্লব দেব, হাফলং ২৫ মার্চঃ বর্হি রাজ্যে চাকুরি ও পড়াশুনা করা প্রায় ৩২৭ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছে ডিমা হাসাও জেলায়। কিন্তু এদের মধ্যে অনেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। তাই প্যাসেঞ্জার লিষ্ট সংগ্রহ করে বর্হি রাজ্য থেকে ফিরে আসা এই ৩২৭ জন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলাপ্রশাসন ও ডিমা হাসাও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে ডিমা হাসাও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার গেস্ট হাউস হাফলঙে নবনির্মিত শিক্ষা ভবনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। 
 
বুধবার এনিয়ে জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনে থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের ইএম স্যামুয়েল চাংসন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডঃ দিপালী বর্মন হাফলং সরকারি হাসপাতালের হাসপাতাল সুপার কল্পনা কেম্প্রাইর সঙ্গে বৈঠক করে সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়। এদিকে ডিমা হাসাও ও হোজাই জেলা সীমান্তবর্তী ডিমা হাসাও জেলার মান্দারডিসাতে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন গাড়ী আটকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যাত্রীদের আটকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই জেলায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা নির্দেশেই স্বাস্থ্য বিভাগ এই পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এদিকে ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও কভিড ১৯ রোগ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর ভয়াবহতা দেখে মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমগ্র দেশে লক ডাউনের ঘোষনা করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনতার উদ্দেশ্যে ভাষন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমগ্র দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন আগামী ২১ দিন যাতে দেশের মানুষ নিজেকে ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ করে রাখেন জরুরি কোনও কাজ ছাড়া যাতে কেউ বাড়ি থেকে বের না হন। এই ২১ দিন যদি দেশের সাধারন মানুষ তা মেনে না চলেন তাহলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বানের পরও মানুষের মধ্যে এখন সজাগতা আসেনি। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাফলং শহরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সরকারি নিয়ম নীতি অমান্য করে ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে স্কুটার মটর সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন অনেকেই। শহরের বিভিন্ন জায়গায় অটো রিস্কা যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। শহরের অনেক স্থানে দেখা যায় ছুটির আমেজে এক জায়গায় অনেককে জরো হয়ে আড্ডা জমাতে কিন্তু এসময়ে পুলিশ ও জেলাপ্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় সমগ্র হাফলং শহরকে বীজাণু মুক্ত করতে ওষুধ ছিটিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.