২১ দিনই যথেষ্ট নয়, করোনা রুখতে ৪৯ দিন লকডাউন দরকার ! মত বিশেষজ্ঞদের !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসকে রোখা এখন প্রতিটি দেশের কাছেই চ্যালেঞ্জের। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশই সেই লড়াই চালাচ্ছে। লড়াই চালাচ্ছে ভারতও। ভারতে ইতিমধ্যে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ২১ দিনের লকডাউনই যথেষ্ট নয়। করোনা ভাইরাস রুখতে অন্তত ৪৯ দিনের লকডাউন দরকার।
বিশেষজ্ঞরা একেবারে অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কেন দরকার অন্তত ৪৯ দিনের লকডাউন। কেনই বা ২১ দিনে সম্ভব নয় করোনা নিয়ন্ত্রণ তাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি দুই গবেষণা সংস্থা এ ব্যাপারে মত প্রকাশ করেছেন। তারা জানাচ্ছে, করোনা রুখতে লকডাউন ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। কিন্তু ২১ দিনের লকডাউনই যথেষ্ট নয়।
সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যালস সায়েন্স ও ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ নামে চেন্নাইয়ের দুই সংস্থা জানিয়েছে, করোনা রুখতে লকডাউন খুবই কার্যকরী একটা পন্থা। কিন্তু শুধু ২১ দিনের এই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংই যথেষ্ট নয়। অন্তত দেড় থেকে দু-মাস লকডাউন রাখতে পারলে করোনার সংক্রমণ রোখা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ২১ দিন নয়, তিন দফায় মাস দুয়েক দেশকে লকডাউন রাখতে হবে। ২১ দিন পর দিন পাঁচেকের বিরতি, তারপর ফের লকডাউন হোক ২৮ দিনের। তারপর আবার পাঁচ দিনের বিরতির পর ফের লকডাউন হোক ১৮ দিনের। তাহলেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফকে বেসলাইনে আনা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের আরও একটা বিকল্প পরামর্শ হল, এত দীর্ঘমেয়াদি লকডাউ না রেখে, আরও ভালো ফল মিলবে যদি টানা ৪৯ দিন লকডাউন করা যায়। তাহলে এই ৪৯ দিনেই করোনার বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। উভয়ক্ষেত্রেই বাধা হল ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। ৪৯ দিন লকডাউন রাখা কি ভারতের মতো দেশে সম্ভব! যদি অনাহারে মানুষের মৃত্যু হয়--দেশে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন করোনা সংক্রমণে মৃত্যু আটকাতে গিয়ে না অনাহারে মানুষের মৃত্যু হয়! তবু চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। তা না হলে করোনা নামক মহামারীকে হারানো যাবে না। দেশের গরিব-দুঃস্থদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে চটজলদি। দেশের মানুষের মধ্যে যাতে দুর্ভিক্ষ তৈরি না হয়, সবার হাতেই যাতে অর্থ থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।









কোন মন্তব্য নেই