Header Ads

নিজের কেন্দ্রেই 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচিতে অনুপস্থিত, শুভেন্দুর বার্তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (কলকাতা) অনুপস্থিতির পর এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মসূচি পালনে অনুপস্থিত রইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার অন্যতম ক্রাউডপুলার শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন ১৪ মার্চ তিনি নন্দীগ্রাম দিবস পালন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচী ‘বাংলার গর্ব মমতা’র সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কর্মসূচীর সূচনা অনুষ্ঠানে তৃণমূলের প্রায় সবস্তরের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সেদিন সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সেদিন নেতাজি ইন্ডোরে অনুপস্থিতির যথেষ্টই কারণ ছিল। কেননা পরের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জেলা সফরের কর্মসূচী ছিল। ফলে তদারকির কারণেই আগের দিন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সকালে স্মৃতিতর্পণ মঞ্চে হাজির থাকার পাশাপাশি বিকেলে মোমবাতি মিছিলেও অংশ নেন তিনি। কিন্তু তাঁরই কেন্দ্রে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচীতে অনুপস্থিত তিনি ! তবে সেখানে গিয়েছিলেন দলের বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান তথা ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল। কর্মসূচীর সূচনার দিনের মতোই সেদিনের কর্মসূচীতে পাওয়া যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেই।
দলের কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তিনি নন্দীগ্রামের শিহদ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আর তাঁর বিধানসভার প্রতিনিধি হিসেবে মেঘনাদ পাল ওই কর্মসূচীতে গিয়েছিলেন। এতে অসুবিধার কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে মেদিনীপুরবাসীর আত্মমর্যাদা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নীতিতে বিশ্বাস করেন তিনি--কিন্তু কখনই আত্মমর্যাদা হারাতে পারবেন না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ওরা ভেবেছিল কলকাতার রাজনীতিতে তাঁকে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন, তাঁদের কথা শুনে তাঁকে রাজনীতি করতে হবে বলেও মনে করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে স্বাধীন চেতা বলে ব্যাখ্যা করেছেন শুভেন্দু !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.