Header Ads

ভাইরাস করোণা কভিড-19-র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সমর্থন জানালো ভারতীয়রা 'জনতা কার্ফিউর' মাধ্যমেই...


শুভজিৎ রায়,পাঁচগ্রাম: বিশ্ব ত্রাস সৃষ্টিকারী মারণব্যাধী ভাইরাস করোণা কভিড-১৯ এর প্রতিরোধ করতে সরকার তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সতর্কবার্তা অনুযায়ী রবিবারের ১৪ ঘন্টার জনতা কার্ফুইউ এ ব্যাপক সাড়া মিলল উত্তর হাইলাকান্দির আনাচে কানাচে।আজ সকাল সাতটা হইতে নিস্তব্ধতা পরিলক্ষিত হয় ৩৭নং ৫৪নং সহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কগুলিতে।বন্ধ থাকে সবধরনের দোকান পাট। এদিন সন্ধ্যায় নামজপ, প্রার্থনা সহ শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি,বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে‌ বাঁচার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে সকল‌ জনসাধারণ। এছাড়া পাঁচগ্রাম-কাটাখাল -জানকীবাজার সহ আশপাশ এলাকায়  সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতি-সম্প্রদায়-দল-মত নির্বিশেষে  জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে সামিল ছিলেন এলাকার সকল নাগরিক।এদিকে,আজ বারুণীর পূণ্য স্নান বাতিল করে বরাকের ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধেশ্বর কপিলাশ্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রবেশপথে পোস্টার লাগিয়ে সব ধরণের দর্শন প্রণাম আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে মন্দির কমিটি। তবে আজকের এই মহাসংগ্রামে যখন গৃহবন্দী জনসাধারণ তখন দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে সকাল সাতটা থেকে ই প্রায় নিয়মিত টহলদারি পরিলক্ষিত হয়েছে পাঁচগ্রাম - কাটাখাল পুলিশ প্রশাসনের।

এছাড়া,ও এদিন বিশ্ব তথা ভারতবর্ষের সকল মানব সমাজ ও জীব-জগতের মঙ্গল কামনায় তথা করোণা কভিড-১৯ ভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় তাঁর নিজ বাড়িতে মহা যজ্ঞের আয়োজন করেন। বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্য প্রার্থনা জানান প্রাক্তন মন্ত্রী রায়। এদিকে,আজ সকাল সাতটা থেকেই ঔষধের দোকান সহ সবকিছু ই বন্ধ পালন‌ করে স্বতস্ফূর্ত সাড়া দিয়ে বাঁচার লড়াইয়ে সামিল ছিলেন তবে আগামী কাল থেকে আলগাপুর বিধানসভা এলাকায় সাপ্তাহিক সবধরনের বাজার-হাট বাতিল করা হয়েছে বলে জিলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
জিলার উপায়ুক্ত কীর্তি জল্লির এক নির্দেশ অনুসারে আগামী কাল থেকে গোটা জিলায় নিত্য বাজার হাটে লাগাম টেনে সমাবেশ ঠেকাতে সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা অবধি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার হাট চলবে। সমাবেশ তথা একাধিক জনতার ভিড় এড়িয়ে চলার কড়া ফরমান জারি করা হয়েছে জিলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কেন্দ্র ও‌ রাজ্য সরকারের সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী নির্দেশ উলঙ্ঘন করলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। এরজন্য সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জিলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তৎপরতায় থাকবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। অতিরিক্ত ভিড় তথা জনসমাবেশ নজরে পড়লেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা বলে জনসংযোগ সূত্রে জানা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.