Header Ads

ভয় পাচ্ছেন মমতা, আত্মসমর্পণের অভিযোগের পাল্টা তোপ সোমেনের !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এমনটাই দাবি করলেন। তাঁর মতে, রাজ্যে কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে যে জোট হতে যাচ্ছে, তাকেই ভয় পাচ্ছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে রাজনৈতিক দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সিপিএম এবং কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যেকার জোটকে ভয় পাচ্ছেন। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার তথা রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের মুখ্যসচিব রাজীব কুমারকে চোরও বললেন সোমেন মিত্র।
আসন্ন পৌরসভা ও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত একপ্রকার হার মেনে নিয়ে বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের কর্মী প্রশিক্ষণ শিবিরে চাঙ্গা করার বদলে দুর্বল করে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন কিছু কিছু কংগ্রেসের নেতা নিজেদের জাহির করার জন্য হোয়াট্স অ্যাপ, ফেসবুক সহ নানান সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের সংগঠনকে দুর্বল করার জন্য যা ইচ্ছা তাই লিখে ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দালালি করছেন। তাদের দল করার দরকার নেই এমনটা জানলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম দিলু হওয়ায় জেলার কিছু কিছু নেতা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।পাশাপাশি তিনি বলেন সামনে পয়লা মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা বাংলায় এলে তাদের ছাত্র সংসদের ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখাবেন। এন আর সি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে বলেন, কতকগুলো দালাল যে আইন আনছে সে আইন বলবৎ হবে না। যারা কাগজ দেখতে চাইছে তাদের নিজেদেরই কাগজ নেই। স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে যারা কথা বলছেন স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের কোন ভুমিকাই নেই। ব্রিটিশদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে হাত মিলিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন যেভাবে রাজ্য বিজেপি নেতারা পার্ক সার্কাস, শাহীনবাগ নিয়ে মন্তব্য করছেন তা খুব অসম্মানজনক। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এক হয়েছেন। চুপিচুপি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা করে আসছেন। রাজীব কুমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন রাজ্যে একটা চোর রয়েছে তাকে ছাড়ানোর জন্য দাদার জন্মদিনের উপহার দিলেন দিদির। যাতে সেই চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি বলেন আসন্ন পৌর নির্বাচন ও আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা যে করেই হোক সিপিএম-কংগ্রেস জোট রাখবো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.