Header Ads

অসম সাহিত্য সভা আলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বরুয়াকে শান্তি আলোচনায় বসার আহবান



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমীয়া মানুষের জীবনে অসম সাহিত্য সভার অবদান অনস্বীকার্য। অসমীয়া ভাষা-কৃষ্টি রক্ষা করার ক্ষেত্রে অসম সাহিত্য সভার এক ভূমিকা আছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পাশে বস্ত্র নগরী শুয়ালকুচিতে অসম সাহিত্য সভার দ্বি-বার্ষিক অধিবেশনের তৃতীয় দিনে নবনির্বাচিত সভাপতি কুলধর শইকিয়া আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, সভাপতি পরমানন্দ রাজবংশী প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তথা নব নির্বাচিত সভাপতি শইকিয়ার হাতে তার দায়িত্ব তুলে দিলেন। পরমানন্দ রাজবংশী আজ সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যে যে মানুষই আসুক না কেন,  জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে অসমীয়া ভাষা জানতেই হবে। তবে নিজেদের মাতৃভাষা নিয়ে পড়াশুনাতে আপত্তি নেই, রাজ্যে যোগাযোগের ভাষা হবে অসমীয়া। প্রসঙ্গত অসম সরকার বরাক ও বড়োল্যান্ড ছাড়া বাকি এলাকায় অসমীয়া ভাষাকে বাধ্যতামূলক করেছে, বিদ্যালয়ে একটি বিষয় অসমীয়া রাখতেই হবে। শুধু সরকারি বিদ্যালয়ে নয় বেসরকারি বিদ্যালয়েও অসমীয়া ভাষা বাধ্যতামূলক। সাহিত্য সভার বিদায়ী সভাপতি জানান, তাদের কার্য্যনির্বাহী সভায় ভাষা নিয়ে এক প্রস্তাব গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও অসমে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষা করতে আলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বরুয়াকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে ডিজিপি কুলধর শইকিয়া আলফাকে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এবার সাহিত্য সভার সভাপতির পদে বসেছেন, পরেশ বরুয়া আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন, তবে তার শর্ত সার্বভৌমত্বের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা টেবিলে কেন্দ্র বসবে কিনা তা লক্ষ টাকার প্রশ্ন। তবে ইতিমধ্যে শিবসাগরের আলফার দুই নেতা এন.ডি.এফ.বি.-র ক্যাডারদের সঙ্গে অস্ত্র সংবরণ করেন। আজ পরমানন্দ রাজবংশী স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, অসম সাহিত্য সভার অধিবেশনে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী এবং সাহিত্য সভার আহ্বায়ক হিসাবে হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাকি যে-কেও অধিবেশনে আসতে পারেন তবে সবাইকে মঞ্চে বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.