শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর আশীর্বাদ চাইলেন কেজরি !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল লাগাতার তৃতীয়বার রাজধানী দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর রামলীলা ময়দানে উপস্থিত জনগণকে সম্বোধিত করে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেন, দিল্লীর উন্নতির জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ চাই। এর সাথে সাথে তিনি কেন্দ্র সরকারের সাথে মিলেমিশে কাজ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন।
আম আদমি পার্টির রাষ্ট্রীয় সংযোজক তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি শপথ গ্রহণ সমারোহে ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ওঁর আগে যারা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁরা রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
রাষ্ট্রীয় রাজধানীর এই জায়গা কেজরীবালের একবারে মনের কাছে। কারণ এই জায়গাতেই ২০১১ সালে কেজরীবাল আন্না হাজারের ইন্ডিয়া এগেইনস্ট কোরাপশন আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০১২ সালে এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে কেজরীবাল রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন।
২০১৩ সালে দিল্লীতে নির্বাচন হয়েছিল, তখন কেজরীবাল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে কংগ্রেসের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২৮ ডিসেম্বর রামলীলার ময়দানে শপথ নিয়েছিলেন। যদিও মাত্র ৪৯ দিন পর ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে উনি ইস্তফা দিয়ে দেন।
এরপর ২০১৫ সালে দিল্লীতে আবারও নির্বাচন হয়। তখন তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় লাভ করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কেজরীবাল এবার তৃতীয়বার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। আর শপথ নেওয়ার জন্য উনি দিল্লীর রামলীলা ময়দানকেই বেছে নিয়েছেন।
কেজরীবাল আর আম আদমি পার্টি ছাড়াও রামলীলা ময়দান দেশের দিগগজদের উপস্থিতি আর ঐতিহাসিক ঘটনার প্রমাণ। নাম শুনেই বোঝা যায় যে, এই জায়গা রামলীলা নাটকের জন্য বিখ্যাত। রামলীলায় রামের জীবন কাহিনীকে তুলে ধরা হয়। যদিও, এই ময়দান অতীতেও অনেক ঐতিহাসিক ভাষণের সাক্ষী ছিল।
ব্রিটেনের মহারানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর সাথে এই মাঠে ১৯৬১ সালে একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল রামলীলা ময়দানে উপস্থিত মানুষকে সম্বোধিত করে বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক রাজনীতি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে আমার বিরোধীরা আমাকে যা বলেছে, আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর কেজরীবাল বলেন, আমি সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উনি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, আপনি যাকেই ভোট দিন না কেন, কোন ব্যাপার না। এবার সবাই আমার পরিবারের অংশ। সবার জন্য কাজ করব।
কেজরীবাল নিজের ভাষণে বলেন, অনেকে বলেন দিল্লীতে কেজরীবাল বিনামূল্যে সব দিচ্ছে। আমি বলতে চাই, অনেক কিছু অমুল্য জিনিষ বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। মায়ের প্রেম, বাবার প্রেম আর স্যাক্রিফাইজ ফ্রিতে পাওয়া যাচ্ছে। শ্রবণ কুমার তাঁর মাতা পিতার জন্য বিনামূল্যে সেবা দেন। আমি সরকারি স্কুলে পড়া বাচ্চাদের থেকে ফিস নেব? লজ্জা লাগে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এমন ভাবে টাকা নিতে !
আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল লাগাতার তৃতীয়বার রাজধানী দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর রামলীলা ময়দানে উপস্থিত জনগণকে সম্বোধিত করে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেন, দিল্লীর উন্নতির জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ চাই। এর সাথে সাথে তিনি কেন্দ্র সরকারের সাথে মিলেমিশে কাজ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন।
আম আদমি পার্টির রাষ্ট্রীয় সংযোজক তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি শপথ গ্রহণ সমারোহে ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ওঁর আগে যারা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁরা রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
রাষ্ট্রীয় রাজধানীর এই জায়গা কেজরীবালের একবারে মনের কাছে। কারণ এই জায়গাতেই ২০১১ সালে কেজরীবাল আন্না হাজারের ইন্ডিয়া এগেইনস্ট কোরাপশন আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০১২ সালে এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে কেজরীবাল রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন।
২০১৩ সালে দিল্লীতে নির্বাচন হয়েছিল, তখন কেজরীবাল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে কংগ্রেসের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২৮ ডিসেম্বর রামলীলার ময়দানে শপথ নিয়েছিলেন। যদিও মাত্র ৪৯ দিন পর ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে উনি ইস্তফা দিয়ে দেন।
এরপর ২০১৫ সালে দিল্লীতে আবারও নির্বাচন হয়। তখন তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় লাভ করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কেজরীবাল এবার তৃতীয়বার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। আর শপথ নেওয়ার জন্য উনি দিল্লীর রামলীলা ময়দানকেই বেছে নিয়েছেন।
কেজরীবাল আর আম আদমি পার্টি ছাড়াও রামলীলা ময়দান দেশের দিগগজদের উপস্থিতি আর ঐতিহাসিক ঘটনার প্রমাণ। নাম শুনেই বোঝা যায় যে, এই জায়গা রামলীলা নাটকের জন্য বিখ্যাত। রামলীলায় রামের জীবন কাহিনীকে তুলে ধরা হয়। যদিও, এই ময়দান অতীতেও অনেক ঐতিহাসিক ভাষণের সাক্ষী ছিল।
ব্রিটেনের মহারানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর সাথে এই মাঠে ১৯৬১ সালে একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল রামলীলা ময়দানে উপস্থিত মানুষকে সম্বোধিত করে বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক রাজনীতি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে আমার বিরোধীরা আমাকে যা বলেছে, আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর কেজরীবাল বলেন, আমি সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উনি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, আপনি যাকেই ভোট দিন না কেন, কোন ব্যাপার না। এবার সবাই আমার পরিবারের অংশ। সবার জন্য কাজ করব।
কেজরীবাল নিজের ভাষণে বলেন, অনেকে বলেন দিল্লীতে কেজরীবাল বিনামূল্যে সব দিচ্ছে। আমি বলতে চাই, অনেক কিছু অমুল্য জিনিষ বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। মায়ের প্রেম, বাবার প্রেম আর স্যাক্রিফাইজ ফ্রিতে পাওয়া যাচ্ছে। শ্রবণ কুমার তাঁর মাতা পিতার জন্য বিনামূল্যে সেবা দেন। আমি সরকারি স্কুলে পড়া বাচ্চাদের থেকে ফিস নেব? লজ্জা লাগে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এমন ভাবে টাকা নিতে !
কোন মন্তব্য নেই