Header Ads

দল চালাতে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন, প্রকাশ করলেন মমতা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
তৃণমূল ব্যক্তিগতভাবে কারও নয়, মানুষের দল। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে একাধিকবার এই কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের বার্তা দিতে গিয়ে তিনি
, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তিনি রাজনীতি করেন মানুষের জন্য।তৃণমূল ব্যক্তিগতভাবে কারও দল নয়, মানুষের দল। দল চালায় সম্মিলিত নেতৃত্ব--বলেছেন তিনি। একথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিধানসভায় তাঁর কাজ সামলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ববি হাকিমরা। অন্যদিকে তিনি সাংসদদের কাজ দেখাশোনা করেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, কোনও অভিযোগ পেলে তিনি সহজেই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান না। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিষয়টি নিয়ে ক্রসচেক করেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর অনেক লোক আছে, তাদের মাধ্যমে দলের খবর সহজেই তাঁর কাছে চলে যায়। উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গ সব জায়গাতেই তা প্রযোজ্য।
অনেক সময়ই স্থানীয় নেতাদের কাজে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় নেতারা ভাল ব্যবহার করেন না। সাধারণ মানুষ স্থানীয় নেতাদের দুর্নীতে যুক্ত হতে দেখেন। যা ভাল ভাবে নেন না সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও কার্যত সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লোকাল নেতাদের ভাল না লাগতে পারে, দলটা আমরা চালাই। অন্যায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের দুই সভার মতোই বুধবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের মূল লক্ষ্য বিজেপি। একইসঙ্গে বাম কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ভোগী বলে আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ভোগী বলে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উনি ভোগ করলে আপত্তি নেই।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যাঁরা দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সেইসব পরিবারের, দেশভাগের সময় যাঁরা পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত ভাগ হয়েছিল সম্প্রদায়ের ভিত্তিতেই। মঙ্গলবার যোগী বলেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পর এবার হনুমান চালিশা পাঠ করবেন এআইএমআইএম নেতা ওয়াইসি।
দিল্লির ভোট প্রচারে যোগীর বিরুদ্ধে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছে আপ। তার থেকেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ উল্লেখযোগ্য বলেই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে নাম না করে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের একটি সভায় দেখা যায় স্লোগান উঠেছে দেশ কো গদ্দারোঁ কোে, গোলি মারো শালোঁ কো। এই ঘটনায় অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের ব্যক্তিদের মন্ত্রীপদে থাকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে উড়ে এসে জুড়ে বসার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আপনাদের যেতে হবে, কারণ মানুষ তাড়াবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিজেপি নেতাদের মুখে সকাল থেকে বিকাল পাকিস্তানের নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়ের অভিযোগ বিল পাশে কোনও সময় দিচ্ছে না সরকার। রাতে নতুন বিলের কথা বলে সকালেই পাশ করিয়ে নিচ্ছে। এর জন্য তাঁকে সকাল থেকে রাত দলের সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও তাঁর অভিযোগ কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, এক হয়ে গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.