Header Ads

ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে মমতা সহ মুখ্যমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণে ডাকবেন না কেজরীওয়াল !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
অরবিন্দ কেজরীওয়াল শপথ গ্রহণের দিনে অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করবেন না--এমন কী মমতাকেও নয় ! সুত্র থেকে এই খবর পাওয়া গেছে। সুত্র অনুযায়ী, কেজরীবালের মতে সবার সাথে বেশি মিলেমিশে যাওয়ার পর ওঁর ব্র্যান্ডের ক্ষতি হয়েছে। আর এর জন্য তিনি এবার নিজের রাজনীতি থেকে সবাইকে আলাদা রাখতে চান। সুত্র থেকে জানা যায় যে, অরবিন্দ কেজরীবাল নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকবেন না। শুধু দিল্লীর জনতা আর দিল্লীর সাংসদদের ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

যদিও, প্রথমে শোনা যাচ্ছিল যে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস আর অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হতে পারে। ফল ঘোষণার আগে তিনি দিদি মমতাকে ফোন করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলেন ! কিন্তু, এখন জানা যাচ্ছে যে উনি আর এটা করবেন না। কেজরীবালের শপথ গ্রহণে শুধু দিল্লীর জনতা আর সাংসদেরা থাকবেন। অরবিন্দ কেজরীবাল ১৬ ই ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। মনীষ সিসোদিয়া এই ঘোষণা করেছেন।
সিসোদিয়া জানান, ১৬ই ফেব্রুয়ারির দিনে দিল্লীর নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করবে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল যে, অরবিন্দ কেজরীবাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি শপথ নেবেন, কারণ উনি গতবার ওই দিনেই শপথ নিয়েছিলেন আর এবার দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সিসোদিয়া পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, উনি ১৬ তারিখ রামলীলা ময়দানে শপথ নেবেন।
শোনা যাচ্ছে যে, এবার কেজরীবালের মন্ত্রীমণ্ডলে কিছু নতুন চেহারা আসতে পারে। দলের অনেক বরিষ্ঠ নেতা এবার বিধানসভার নির্বাচনে জিতেছেন, আর তাঁদের এবার মন্ত্রী বানানো হবে। অরবিন্দ কেজরীবাল লাগাতার তৃতীয়বার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, প্রথমবার তিনি ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কিন্তু কিছুদিন সরকার চলার পর উনি ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপর তিনি আবার ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আর সেবার তিনি পুরো পাঁচ বছর সরকার চালান। আর এবার তৃতীয়বারের জন্য তিনি দিল্লীর মসনদে বসতে চলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.