হলিউডের ফ্লিম ফেয়ার পুরস্কার বিতরণী গুয়াহাটিতে, অক্ষয় বাহিনীর নাচের সঙ্গে অসমের পরম্পরা বিহু সব একাকার হয়ে গেল
নয়া ঠাহর, গুয়াহাটি : এই সেই দিন পর্যন্ত
কা বিরোধী আন্দোলনের ফলে রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছিল গতকাল, আজ গুয়াহাটি মহানগর হলিউড জ্বরে কামছে, 65তম বলিউড ফ্লিম ফেয়ার পুরস্কার বিতরণী উৎসব
উপলক্ষ্যে বুম্বাইএর সিনেমা জগৎ উঠে
এসেছে গুয়াহাটিতে। গুয়াহাটির সরুসোজাই স্টেডিয়ামের রংমন মঞ্চ দৃষ্টিনন্দন আলোকমালায়
সেজে উঠেছে, অসমের বিহু,
সত্ৰীয়া নৃত্যের সঙ্গে
বুম্বাইয়ের অক্ষয় বাহিনীর সমবেত নৃত্য এক ফিউশন, সৃষ্টি করেছে, অসমের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী জুবিন গার্গকে
বুম্বাইয়ের তারকারা বাঁধন হারা স্বাগত সম্ভাষণ জানান। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল
সহ অধিকাংশ মন্ত্রী, অফিসার এই মেগা
শোতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। অমিতাভ বচ্চন, তিন বিখ্যাত খানরা
ছিলেন না। অসম সরকারের ব্র্যান্ড আমব্রেসদর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ছিলেন না। উষা উত্থুপ
ভূপেন হাজরিকার স্মৃতি নিয়ে নস্টাল জিয়া হয়ে পড়েন। অক্ষয় কুমার আজ ভোর রাতে
বুম্বাই থেকে উড়ে এসে সোজা সরুসোজাইয়ে রংমন মঞ্চে গিয়ে নৃত্যের মহড়া দেন। তার
সঙ্গে অভিনেত্রী ভূমি পেরনেকার আসেন গভীর রাতে। আজ দুপুরে আসেন আলিয়া ভাট, সিনেমা অনুরাগীরা গভীর রাতেও বিমানবন্দরে
উপস্থিত ছিলেন। গতকাল আসেন সপরিবার গোবিন্দা, মাধুরী দীক্ষিত, রণবীর সিং, রাধিকা আপ্তে, করণ জোহর, বিকি কৌশল, কার্তিক আইয়ান, কবির বেদী, অন্যান্য পান্ডে, সিন্ধান্ত চতুর্বেদী, মনীষা পল,
হর্ষবর্ধন রানে, আয়ুষ্মান খুরানা, বরুণ ধাওয়ান প্রমুখ শতাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী
কলা কুশলী গুয়াহাটি সরুসোজাইয়ের রংমন মঞ্চ মাতিয়ে তুলেছেন। আজ দুপুর থেকেই লম্বা
লাইন, টিকিটের জন্যে হাহাকার,
টিকিটের মূল্য 1 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা, বিশেষ ভিভি আই পি ক্লাসের জন্যে 3 লাখ টাকার টিকিট ও বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেল।
পাণ্ডু-মালিগাঁও অঞ্চলের ফাইভস্টার হোটেল রেডিসন ব্লু এবং টাটা গোষ্ঠীর ফাইভস্টার হোটেল
তাজ ভিভান্টে অধিকাংশ তারকাদের থাকার ব্যবস্থা হয়। অধিকাংশ অভিনেতা অভিনেত্রী গতকাল
ও আজ কামাখ্যা মন্দির দর্শন করেন। অসমের পরম্পর গামছা, কাজিরাঙ্গার বিখ্যাত গন্ডারের মূর্তি, অসমের বিখ্যাত অসম সিল্ক উপহার দিয়ে হলিউড জগৎকে
সম্মান জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পর্যটন নিগমের চেয়ারম্যান জয়ন্ত
মল্ল বরুয়া আশা করছেন, ফ্লিম ফেয়ার অনুষ্ঠানের ফলে অসম বিশ্বের দরবারে
স্থান করে নেবে। অসমের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে।
কোন মন্তব্য নেই