Header Ads

ইয়েচুরি যাবেন রাজ্যসভায়! দু-বছরের নাটকের অবসান, সিপিএমকে ধরতেই হল ‘হাত’ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 

একটা সময় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে সাংসদের ভূমিকায় পেতে আগ্রহী ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে সিপিএম রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবে মান্যতা দেয়নি। তবু এতদিন পর সীতারাম ইয়েচুরিকে সংসদে পাঠাতে বিশেষ আগ্রহী সিপিএম। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতেই সিপিএম আগ্রহী হল।

এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি কংগ্রেসের সহায়তা চেয়েছে। রাজ্য সিপিএম সূত্রে সোমবার ইয়েচুরির সংসদীয় ভূমিকা তুলে ধরে এই প্রস্তাবে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সংসদে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন ইয়েচুরি। তাই আগামী মাসে অনুষ্ঠিথ রাজ্যসভা নির্বাচনে তাঁকে মনোনীত করতে আগ্রহ প্রকাশ করল সিপিএম।
২০১৭ সালে সীতারাম ইয়েচুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বয়ং রাহুল গান্ধী তাঁকে চেয়েছিলেন বিরোধী মত আরও প্রত্যয়ের সঙ্গে উপস্থাপনা করতে। সিপিএম তখন দলীয় নিয়মের কথা তুলে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। বলা হয়েছিল পরপর তিনবার কেউ সংসদ হিসেবে মনোনয়ন পাবে না। সংসদে সিপিএম গৌন হতেই সংসদে দৃঢ়তার সঙ্গে দলের কথা, মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতে ইয়েচুরির জুড়িমেলা ভার। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে সংসদে সিপিএম গৌন হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও সরকার বিরোধী আওয়াজ জোরদার করতে তাঁর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। তখন সিপিএম-ই শুধু বুঝল না তাঁর প্রয়োজনীয়তা।
বর্তমান শক্তি অনুসারে রাজ্যসভায় একক ভাবে কাউকে মনোনীত করার অবস্থায় নেই সিপিএম। তাই রাজ্য সিপিএমের এক নেতা বলেছেন, আমাদের কংগ্রেসের সমর্থন নেওয়া দরকার। আর ইয়েচুরি আমাদের প্রার্থী হলে, আমরা যে তা পাব, সে ব্যাপারে আশাবাদী। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন আমরা তো আগেই সমর্থনে আগ্রহী ছিলাম। সিপিএমই বেঁকে বসেছিল।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, এবারও যদি ইয়েচুরি প্রার্থী হন, আমরা মনে করি না তাঁকে সমর্থন করতে দ্বিধা করবে কংগ্রেস। তারপর সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর যে ধরনের সমীকরণ তাতে কংগ্রেসের পক্ষে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।
ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যসভার পাঁচটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এই আসনগুলির মধ্যে চারটি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে। পঞ্চম আসনটি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে, যিনি এর আগে ২০১৪ সালে সিপিএম মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পরে সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের লোকসভা বা রাজসভায় কোনওরকম প্রতিনিধিত্ব নেই। ১৯৬৪ সালে দলটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। বর্তমান রাজ্য বিধানসভায় আসন বন্টন অনুসারে তৃণমূল চারটি রাজ্যসভা আসন পাবে এবং সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে একটি আসন জিতবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.