Header Ads

অস্ত্র ত্যাগ করে হাগ্রামা বি টি সি পেয়েছিল, এবার অস্ত্র পরিত্যাগ করে রঞ্জন দৈমারী বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন পেল, সংখ্যাগরিষ্ঠ অবড়ো জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার কি থাকবে ?



অমল গুপ্ত,  গুয়াহাটি : 1997, 2003 তারপর তৃতীয়বার অসমের বড়োজনগোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আবার বড়ো শান্তি চুক্তি করলো, এবার হচ্ছে বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজন বা বড়োল্যান্ড আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এনডিএফবি-র চারটি গোষ্ঠী আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা প্রমখদের পাশে বসে বড়ো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন। এই চুক্তি অনুযায়ী আগামী 30 জানুয়ারি 130 টি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে 1550 জন ক্যাডার অস্ত্র সংবরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকার সম্ভবনা আছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে, এই  চুক্তিতে বড়োরা আর পৃথক বড়ো রাজ্যের দাবি জানাবে না,  কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছরে 1500 কোটি টাকা দেবে, অবিলম্বে 750 কোটি টাকা দেবে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যে, নিহত বড়ো শহীদদের 5 লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। বরোল্যান্ডে বরোমাতে আবসুর জনক উপেন ব্রহ্ম স্মৃতিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াগন নির্মাণ রেল ফ্যাক্টরি, স্পোর্টস ইনস্টিটিউট প্রভৃতি স্থাপন করার আশ্বাস দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, 1972 সাল থেকে বড়ো আন্দোলন শুরু হয়, এই আন্দোলন 1987 সাল থেকে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, 2823 জন সাধারণ নাগরিক, 239 জন সুরক্ষা কর্মী এবং 939 জন ক্যাডার প্রাণ হারান। এবার অসম সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে। সূত্র জানান, কেন্দ্র সংবিধান সংশোধন করেও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। যেসব এলাকা অবড়ো জনগোষ্ঠীর গ্রামগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেই সব  অবড়ো গ্রামগুলিকে বিটিসি থেকে কেটে ফেলা হবে,  আগে বড়ো আইন সভাতে 40 টি আসন ছিল এবার 60 টি আসন হবে। আগে 10 টি আসন অবড়োদের জন্য সংরক্ষিত ছিল, এবার 18 টি আসন হবে। তবে বড়োদের জন্য 30 টি আসন সংরক্ষিত ছিল এবার আরও 15 টি আসন বাড়তে পারে। আগে 3082 টি গ্রামকে অন্তভুক্ত করে বিটিসি গঠিত হয়েছিল, চিরাং,      বাকসা, কোকড়াঝাড় এবং উদালগুড়ি এই চারটি জেলাকে নিয়ে বিটিসি মোট বড়ো জনসংখ্যা 22 লক্ষের বেশি হবে না, অবড়ো জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বহু বেশি,  বাঙালি মুক্তি বাঙালি জনমুক্তি বাহিনীর চেয়ারম্যান অমর পাল জানান, 301 জন তাদের ক্যাডার অস্ত্র সংবরণ করেছে। তাদের পুনর্বাসনের সব সুযোগ দেওয়া হবে। এই চুক্তিতে এনআরসি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রশ্ন ওঠেনি। এই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী, কোচ রাজবংশী, নেপালি প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর কোনো রাজনৈতিক থাকবে কি?  অস্ত্র ছেড়ে হাগ্রামা মহিলারী একদিন বিটিসি পেলো, আজ এনডিএফবি অস্ত্র ছেড়ে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার মসনদে বসার সুযোগ পেল।

     এদিকে অবড়ো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন অবড়ো সংগঠন বড়ো শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালীন অসম বন্ধের ঘোষণা করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.