Header Ads

ত্রিপুরার রমরমা অবৈধ গরু পাচার ও বাবা গোরক্ষনাথ গোশালাকে দালাল চক্রের হুমকি



 নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, ধর্মনগরঃ উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে অবৈধ পাচার কার্যের জন্য করিডোর হিসাবে চর্চিত রাজ্য, ত্রিপুরার ধর্মনগর সংলগ্ন ইয়াকুব নগর ও আগরতলা সংলগ্ন সোনামুড়া এলাকার বাংলাদেশের খুলা বর্ডার যেখান দিয়ে পাচারকারীরা দীর্ঘ তিন দশক ধরে বিভিন্ন অবৈধ সামগ্রী পাচার করে আসছে তার মধ্যে ইয়াবা টেবলেট, ফেনসিডিল, কোফ্সিরফ, ড্রাগস, গাঁজা ও গরুর তস্করী। এসবের মধ্যে গরুর তস্করী বিশেষ উল্লেখ্য, ত্রিপুরা রাজ্যে দীর্ঘ 25 বছর বাম-আমলে রমরমা এই অবৈধ-অমানবিক গরুর পাচার বর্তমানে রাম-আমলেও প্রকাশ্য দিবালোকে একই ভাবে চলছে। 2018 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশেষ স্লোগান ছিল "গো-মাতা কে রক্ষা করতে হবে, এমন কি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তথা ত্রিপুরার ইনচার্জ সুনীল দেওধর জীও গরুর গাড়ী আটক করে আন্দোলন করেছিলেন। ত্রিপুরায় সরকারে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বেকারদের গরু পালনের উপদেশ দেন কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের অবৈধ গো-তস্করী এখনো থামবার নাম নিচ্ছে না। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন তথা গ্রামীণ -হিন্দুরা মিলে গরু সমেত পাচারকারীদের আটক করে পুলিশকে ধরিয়ে দিলেও কোনো কাজ হয়নি। বিশেষ সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এই অবৈধ পাচারে ত্রিপুরা পোলিশের কিছু গুণধর অফিসার জড়িত রয়ছেন, য়ার ফলস্বরূপ সরকার চাইলেও পাচারকারীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবার পশ্চিম জেলার আগরতলার বিশালগড়ের দেবীপুর খামারে দিল্লির "ধ্যান ফাউন্ডেশন" ও উত্তর জেলার ধর্মনগরের "বাবা গোরক্ষনাথ গোশালা" নির্মাণের পর থেকে বি.এস.এফ. পাচারকৃত গরুগুলি আটক করে গোশালাতে প্রেরণ করে রক্ষনাবেক্ষণের জন্য। এরফলে গো-তস্করীদের মাথায় বাজ। বেশ কয়েক মাস যাবৎ গোরক্ষনাথ গোশালাকে বিভিন্ন ভাবে এই পাচারকারীরা হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল গভীর রাত গোশালায় কিছু দুষ্কৃতিকারী হানা দেয় ও জলের মটর সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় ও কিছু ভাংচুর চালায় এবং গোশালায় আসা গরুগুলির প্রায় 99 শতাংশ গরু বিশেষ কোনো মালিকানা ছাড়াই নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে । গোশালা কর্তৃপক্ষ গোমাতাকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.