Header Ads

ডিটেনশন ক্যাম্প এ আবার মৃত্য, আবার দাবি বাংলাদেশে মৃতদেহ নিয়ে যাবার




অমল গুপ্ত  গুয়াহাটিঃ বাংলাদেশি বলে মিথ্যা অভিযোগে ঢেকিয়াজুলির দুলাল  পাল কে গোয়ালপাড়া জেলার ডিটেনশন ক্যাম্প এ ভরে দেওয়ার পর তিন  বছর বিনা দোষে জেল খাটার পর গত বছর বিনাচিকিৎসায় মৃত্য হওয়ার পর তার ছেলেরা  জি এম সি মর্গ থেকে বাবার মৃতদেহ গ্রহণ না করে, দাবি জানিয়েছিলেন বাবাকে যখন বাংলাদেশি বলে বদনাম দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্প এ পুরে মেরে ফেলা হলো, তখন বাবার   মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হোক। ১০ দিন দেহ পরে ছিল, পরে মিথ্যা আশ্বাস দেয় সরকার, নানা প্রলোভন , ভয় দেখানোর পর ছেলেরা মর্গ থেকে মৃতদেহ নিয়ে যায়। কাল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো,  গোয়ালপাড়া জেলার মোরণই পুলিশ থানার অর্ন্তগত তিনকনিয়াপাড়ার নরেস্বর কোচ ডি ভোটারের অপরাধে গত দু বছর থেকে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্প বন্দি ছিলেন। ৫০ বছরের বৃদ্ধ কয়েক মাস থেকে অসুস্থ ছিলেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়, গোয়ালপাড়া সিভিল হাসপাতালে তার ভালো মত চিকিৎসা হয় নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরিদ্র পীড়িত পরিবারের মানুষ একই অভিযোগ করেছেন   নরেস্বর কে যখন বাংলাদেশি বদনাম দিয়ে মিথ্যা ডি ভোটার সাজিয়ে জেলে ভরা হয়েছে তখন তার মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হোক। তার পত্নী জিমি কোচ এই দাবি জানিয়ে মৃত্যুর জন্যে সরকারকে দায়ী করে ক্ষতি পূরণ দাবি করেছে। তিনি জানান ১৯৬৪ সালে তারা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে অসমে এসেছিল, তাদের জমি বাড়ির সব নথি পত্র দেখানোর পর ও বিদেশি সাজানো হয়, তাদের কোনো রোজকার নেই,  জমি জমা নেই , এক মাত্র পুত্র দিন হাজিরা করে , মামলা লড়ার মত আর্থিক অবস্থা তাদের ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প নেই, অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় গত ২৬ নভেম্বরে সংসদে জানান , অসমে ডিটেনসন ক্যাম্প এ ২৮ জন মারা গেছে। দাবি করেন, ভয় বা শঙ্কা নয়, রোগে ভুগে মারা গেছে। অসমের ৬ টি ডিটেনশন ক্যাম্প এ ৯৮৮ জন বন্দি আছে, কাল এক জন মারা  গেলেন। রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনি আইন এর বিরোধিতা করে জোরদার আন্দোলোন চলছে, এর মধ্যেও সরকার বিদেশি নোটিশ ইস্যু করছে। বরাকের শিলচরে রংপুর শিমুতালার গীতা রানী ভৌমিক , একই এলাকার নিশিকান্ত ভৌমিক কে ও বিদেশি নোটিশ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গীতা রানীর বয়স ৭৫, এর আগে বরাকের চন্দ্র ধর দাস তার বয়স ১০২ বছর। রাজ্যে আজও ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৩২ জন ডি ভোটার আছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ডি ভোটাররা ভোট দানের অধিকার থেকে বঞ্চিত  হয়ে আছে। এন আর সি ছুট ১৯ লাখ, ৬ হাজার ৬৫৭ জনের ভাগ্য ঝুলে আছে। রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া আজ পযন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি, বিদেশি ট্রাইব্যুনালের জন্যে ২২১ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে, ২০০০ কর্মচারী নিয়োগের প্রস্তুতিও হয়ে গেছে। সব ঝুলে আছে, বা ঝুলিয়ে রেখেছে কল্যাণকামী সরকার ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.