Header Ads

মুখ্যমন্ত্রীর কাতর আহ্বান আমাকে দূরে সরিয়ে দেবেন না, একঘরে করবেন না, ‘কা’ উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, খিলনজিয়াদের রক্ষা করবই



অমল গুপ্ত গুয়াহাটিঃ ২০২০ সালের প্রথম দিন রাজ্যব্যাপী ‘কা’ বিরোধী আন্দোলনের আবহ এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রী আক্ষরিক অর্থে বড় আবেগিক হয়ে বললেন, আমাকে একঘরে করবেন না, দূরে সরিয়ে দেবেন না,আমি আপনাদেরই একজন, আমি অসমীয়া জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না, আপনারা আমাকে বিধায়ক, সাংসদ করেছেন, কেন্দ্রে মন্ত্রী করেছেন, আমি জাতীয় নায়ক নয়। ‘কা’ উদ্ভূত  রাজ্যিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল বলেন, ‘কা’ নিয়ে রাজ্যের মানুষের মনোভাব, উদ্বেগ, আবেগ অনুভূতি সব প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছি, কোন কিছু লুকাইনি। জাতি রক্ষা র নামে এক তাতপর্য্যপূর্ন্য মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী আজ খানাপাড়া প্রশাসনিক স্টাফ কলেজের প্রেক্ষাগৃহে বলেন, কি করে অসমীয়া জাতিকে রক্ষা করতে হয়, কি করে  নিরাপত্তা দিতে তার পরিকল্পনা আমার আছে, এখন নয়, বহু কথা বলার আছে, সময়ে বলব, আমাকে অপরাধী সাজাবেন না। রাজ্যের সব বিশিষ্ট সাংবাদিক, সরকারি অফিসার, শিল্প মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী, মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী, আইনি উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ, জনসংযোগ অধিকর্তা অনুপম চৌধুরী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব সঞ্জয় লোহিয়া প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মত বিনিময় করেন সাংবাদিকের সঙ্গে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘কা’ বিরোধী  আন্দোলনে রাজ্যের একাংশ বুদ্ধিজীবী র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আলফা যে রাজ্যকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছে, এর পরেও মোহভঙ্গ হয়নি রাজ্যবাসীর। বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রদীপ বরুয়া বলেন ‘কা’ অসমের মানুষের আবেগ অনুভূতি কে আঘাত দিয়ে ছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, ‘কা’ শুধু অসমের জন্যে নয়, জাতীয় আইন, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এর পর আসা একজনকে ও অসম গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ থেকে এক কোটি, দু কোটি মানুষ এসে অসমে র চা বাগানের জমি দখল করবে, এই ধরনের মিথ্যা খবর, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ভাবে অসমকে  নানা ভাবে সহায়তা করছে, তার দৃষ্টান্ত তুলে বিজেপি সরকারের এক মাত্র লক্ষ্য দুর্নীতি মুক্ত, প্রুদূষণ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, এবং বিদেশি মুক্ত সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কি ভাবে খিলাঞ্জিয়া দের রক্ষা করতে হবে ,তার বিস্তারিত প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, বছরের পর যারা রাজ্যে বসবাস করছে তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে, তবে আবেদন করতে হবে, আবেদনগুলো পরিক্ষা করা হবে, অসম চুক্তি রূপায়ণে বিগত সরকার কিছুই করেনি, বিজেপি সরকার চুক্তির ৬ নম্বর, ৭ নম্বর ধারা বাস্তবায়ন করে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশা পাশাপাশি খিলাঞ্জিয়া ভুমিপুত্রের অধিকার  সুনিশ্চিত করছে। বরাক ব্রহ্ম পুত্র উপত্যাকার সার্বিক কল্যাণ, ভূপেন হাজারিকা হেমাঙ্গ বিশ্বাস এর আদর্শ মেনে, শঙ্করদেব আজান ফকির এর হিন্দু মুসলিম মিলন প্রীতি বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য, ‘কা’ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ছাত্রীদের যোগদানের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতার যুগ,মা বাবা দের দায়িত্ব আছে ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা। পরিশেষে মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সংগঠন আসু, জাতীয়তা বাদি যুব ছাত্র পরিষদ সহ ‘কা’ বিরোধী আন্দোলন কারীদের কাছে কাতর আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকারের সাড়ে তিন বছরের কাজ কর্ম বিচার করে সমর্থন করুন, আপনাদের কোটি  কোটি প্রণাম, আশীর্বাদ চাইছি, সহযোগিতা করুন, আসুন সবাই মিলে অসম কে নতুন ভাবে গড়ে তুলি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.