Header Ads

বিদায় বর্ষ ২০১৯, রাজ্যবাসীকে কি দিল সুখবর, আর কি দিল দুঃখরর



দেবযানী,গুয়াহাটি।

প্রতিটি নতুন বছর আসে আর প্রতিটি বছরই ঘটনাবহুল হয়। প্রত্যেক মুহূর্তে ঘটে বহু ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে কিছু ঘটনা আসে সুখের খবর নিয়ে ,আর কিছু ঘটনা আসে দুঃখের খবর নিয়ে। আবার সময়ের স্রোতে  হারিয়ে যায় সমস্ত ঘটনা ।কিছু বিশেষ ঘটনা রয়ে যায় স্মৃতির কোঠায়, যে স্মৃতি কেউ কোনদিন ভোলে না লোকের মনে সেই স্মৃতি কখনোই অতীত হয়না।


২০১৯ সানে ভারতে সংঘটিত হয় অনেকগুলি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ।১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু -শ্রীনগর রাষ্ট্রীয় রাজপথে সন্ত্রাসবাদীর চালানো আক্রমণে৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয় ।বছরের শুরুতেই এটাই ছিল দুঃখের ঘটনা ।এই ফেব্রুয়ারিতেই আসামের গোলাঘাট আর জোরহাট জেলাতে বিষাক্ত মদ পান করার ফলে মৃত্যু হয় ১৬৮ জন লোকের । পুলবামার আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনা এলওসি পার করে বালাকোটে চালিয়েছিল বিমান আক্রমণ। প্রতি আক্রমণ চালায় পাকসেনা । বাধা দিয়েছিল ভারতের বায়ুসেনা ।এই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে পাক সেনার হাতে বন্দি হয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্থমান। আন্তরাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক টানাপোড়েনে পাকিস্তান মুক্ত করে দিতে বাধ্য হয়েছিল অভিনন্দনকে ।

  এরপর ১১ এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হয় নির্বাচন । অসমে ৩টা পর্যায়ে ও সমগ্র দেশে ৭টা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন ।৩ মে উড়িষ্যার সাগরীয় ঘূর্ণি বাতাস ফনী আছড়ে পরে। কিছু লোক মৃত্যুবরণ করে ও অনেক  লোক গৃহহারা হয়। ২৩শে মে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয় ।.এ নির্বাচনে বিজেপি একছত্র ভাবে লাভ করে ৩০৩ টি আসন ।এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ২৫ মে সুরাটে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২১জন লোক  প্রাণ হারায়।৩০শে মে দেশের ১৪ সংখ্যক প্রধানমন্ত্রী রূপে  শপথ নিয়েছিল নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।২৩ শে জুলাই ইসরো চন্দ্রযান ২ প্রক্ষেপন করে।মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের এই সফলতা ছিল প্রতিজন ভারতবাসীর কাছে গৌরবের বিষয়।৩০শে জুলাই নিষিদ্ধ হয়েছিল তিন তালাক প্রথা।৫আগস্ট সংবিধান সংশোধন করে জম্বু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ধারা কর্তন করা হয় ।জম্মু-কাশ্মীর দুই ভাগে ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে সরকার ।জুলাই মাসে অসমে ভয়ংকর বন্যা হয়। দেশের অন্যান্য স্থানে বানে তাণ্ডব চালায়।২২ আগস্ট  প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম কে সিবিআই আটক করে।



নভেম্বরে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় অযোধ্যা বিবাদের ভূমি তদন্তের রায় প্রদান করে। ওদিকে অসমে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে নিয়েও যথেষ্ঠ চর্চা চলেছিল। এই নাগরিক পঞ্জি থেকে কাটা হয়েছিল ১৯ লাখ লোকের নাম। এই নাগরিকপঞ্জি রাজ্য সরকার ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছিল সমান্তরালভাবে সমগ্র দেশে এনআরসি উন্নতি করা হবে বলে গৃহ মন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন ।লোকসভা ও রাজ্যসভাতে কেব গৃহীত করার পর সমগ্র রাজ্যে সৃষ্টি হওয়া প্রতিবাদের আন্দোলন ২০১৯ এর ডিসেম্বরের শেষভাগে তীব্র রূপ ধারণ করে ।এর সাথে সরকার এই আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে ।
ওদিকে অসমে  ২৫জানুয়ারি সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজারিকাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করার কথা ঘোষণা করা  হয়।৮আগস্ট সুধাকণ্ঠকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান  প্রদান করা হয়। ।


৩১ আগস্ট এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। আন্তরাষ্ট্রীয় প্রতিযোগিতাতে হিমা দাস ৫টা সোনার পদক লাভ করে।১ জানুয়ারী মাদার ওল্ড এজ হোমের স্থায়ী ঘরের আধারশীলা স্থাপন করা হয়। রিমা দাস এর বুলবুল ক্যান সিং ছবিটি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত হয় । চাণক্য গ্রন্থের জন্য জয়শ্রী গোস্বামী মহন্তকে সাহিত্য একাডেমী সম্মান প্রদান করা হয় ।২৯-৩০ ডিসেম্বর "কা" বিরোধী আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে ।এবং বছরের প্রথম দিনেই "কা" বিরোধী আন্দোলনে প্রতিবদে উত্তাল হলো রাজ্য।


এই প্রতিবাদের মধ্যেই আগমন নতুন একটি বছরের। সময় আসে সময় চলে যায়। সময় থেমে থাকেনা। থেকে যায় শুধু স্মৃতি। পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুন কে বরণ করে  নেয় রাজ্যবাসী। চারিদিকে প্রতিবাদ তবুও বিগত বর্ষের প্রতিবাদের ভাষা নতুন বছরে সরকার বুঝবে বলে আশাবাদী রাজ্যবাসী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.