Header Ads

লাইমস্টোনের অবৈধ কারবার, নিশ্চুপ প্রশাসন

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : অবৈধ কাজ কারবারের স্বর্গ রাজ্য হয়ে দাড়িয়েছে বরাক উপত্যকা। কয়লা লাইমস্টোন বালি পাথর কোথায় অবৈধ কারবার হচ্ছেনা তা গবেষনার বিষয়। মাঝে কিছুদিন একটু স্থিমিত হলেও আজকাল আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে এই কারবার।
ইদানিং আবার মেঘালয় থেকে অবাধে লাইমস্টোন ঢুকছে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে । আসাম- মেঘালয় সীমান্তের দিগরখাল-মালিডহর হয়ে অবিরত ঢুকছে লাইমস্টোন বোঝাই ওভারলোডেড লরি।  সুত্রমতে, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ লরি লাইমস্টোন ঢুকছে বরাকের বিভিন্ন পাথর ডাম্পিং স্পটে । পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা রাজ্যেও । বরাকে ইদানীং লাইমস্টোনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে এখানকার পাথর কোয়ারি গুলোর পাথরের চাহিদা নিম্নগামী । আবাসিক ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে সরকারী প্রকল্পের কাজেও লাইমস্টোন ব্যবহৃত হচ্ছে। স্হানীয় ক্র্যাশার ইউনিট গুলিতে লাইমস্টোনের বিস্তর ছড়াছড়ি। এদিকে কাটিগড়ার স্হানীয় ক্র্যাশার ইউনিট গুলিতে লাইমস্টোনের ছড়াছড়িতে পরিবেশ বিষিয়ে উঠার সম্ভাবনা  রয়েছে বলে পরিবেশ সচেতন মহলের আশঙ্কা। অন্য একটি  সুত্রের খবর আসামের কোনও ধরণের সরকারী নির্মাণ কাজে মেঘালয়ের লাইনস্টোন ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে। 
এমনটা যদি নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে তাহলে কিভাবে সরকারী নির্মাণ কাজে মেঘালয়ের লাইমস্টোন ব্যবহার করা  হচ্ছে? এনিয়ে  প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া রাজ্য বনবিভাগের একটি সুত্র মতে, এখানকার  ক্র্যাশার ইউনিটগুলোতে মেঘালয়ের লাইমস্টোন ক্র্যাশিং করার ক্ষেত্রে রাজ্য বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমতি চেয়ে কোনও আবেদনপত্র জমা পড়েনি বিভাগীয় কার্যালয়ে। 
তবে এরথেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় লাইমস্টোন বোঝাই ওভারলোডেড লরির অতিরিক্ত ধকল নিতে গিয়ে ৬নং জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা। মালিডহর থেকে গ্যামন সেতু পর্যন্ত সড়কের দুর্দশা ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক (ডাম্পার) লরিচালক জানান ৯ টনের অনুমতি থাকলেও ১৪ থেকে ১৫ টন লাইম স্টোন বোঝাই থাকে একেকটি (ডাম্পার) লরিতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মেঘালয় থেকে লাইম স্টোন বোঝাই ওভারলোড লরিগুলো কিভাবে আসামের দিগরখাল-মালিডহর পার করে বরাকে ঢুকছে ? রাজ্য পরিবহন বিভাগ সহ  করিমগঞ্জ জেলাপ্রশাসনের পদস্ত কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে পার হচ্ছে কিভাবে ? এনিয়ে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। অথচ কয়লার কালোবাজারি সহ অবৈধ কয়লা পারাপার নিয়ন্ত্রণে দিগরখাল-মালিডহরে দণ্ডায়মান  স্বঘোষিত পুলিশ চেক পয়েন্ট। রয়েছে বনবিভাগের ফরেষ্ট বিট অফিসারের গেট। তাদের ভূমিকাই বা কি? জাতীয় সড়কের বেহাল পরিস্থিতি সহ অবাধে ওভারলোডেড লাইমস্টোন বোঝাই লরিগুলোর লাগাম টানতে সরকারিভাবে তারা কি করছে ? এনিয়ে সন্দিহান এঅঞ্চলের বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ। 
যে গতিতে আসাম-মেঘালয় সীমান্তের দিগরখাল-মালিডহর হয়ে অবিরত লাইমস্টোন বোঝাই ওভারলোডেড লরি ঢুকছে বরাকে,এতে নিশ্চিতভাবে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে করিমগঞ্জ জেলাপ্রশাসনের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনের আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টরা।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.