Header Ads

৮০০ চাহ বাগানের মধ্যে ৫২১ বাগানের হাস্পাতালে ডাক্তার নেই


অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি
অসমে প্রায় ৮০ লক্ষ চা জনগােষ্ঠীর মানুষ আছে। তাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে প্রায় ৪০ লক্ষ চা শ্রমিক আছে। তাদের চিকিৎসার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই, ৫০০ চা বাগানে ডাক্তার নেই। ১ হাজার চা বাগানের বিপরীতে মাত্র দুইজন চিকিৎসা পরিদর্শক আছে বলে কংগ্রেসের রূপজ্যোতি কুৰ্মী, দুর্গা ভূমিজ ও অন্যান্যদের অভিযােগের জবাবে বিধানসভার জিরাে আওয়ারে পঞ্চায়েত এবং গ্রামােন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রীনবকুমার দোলে জানান, বর্তমান অসমের চা শ্রমিক আইনের ১৯৫১-এর অধীনে মােট ৮০০টি নথিভুক্ত চা বাগান আছে। প্রত্যেকটি চা বাগানে ডাক্তার নিযুক্তির ব্যবস্থা আছে। তবে বর্তমানে কেবল ২৭৯টি চা বাগানের হাসপাতালে ডাক্তার কাজ করছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে লেবার কমিশনাররা মাঝে মাঝে চা বাগানগুলিতে ডাক্তার নিয়ােগের নির্দেশ দিয়ে থাকেন। বাগিচা শ্রমিক আইন অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৫টি চা বাগানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ৮টি অনুমােদিত বাগানে চিকিৎসা পরিদর্শকের পদ আছে। নগাঁও, যােরহাট, শিবসাগর, ডিব্ৰুগড়, তিনসুকিয়া, শিলচর, তেজপুর এবং বিশ্বনাথ চারালি এই আটটি জেলায় পরিদর্শকের পদ আছে। কিন্তু মাত্র দুটি পদেই পরিদর্শরা দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সরকার ২০১৭ সালের ড্রাগ আইন সংশােধন করে এখন নতুন করে ড্রাগ লিস্ট প্রস্তুত করেছে। অসম সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবার দিকে লক্ষ্য রেখে গর্ভবতী মহিলাদের ওয়েজেস কমপেনসেশন কর্মসূচি রূপায়ন করছে। চা বাগানের গর্ভবতী মহিলা তথা গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। গর্ভাবস্থার থেকে প্রসবের ছ’সপ্তাহ পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে ১২ হাজার টাকা কিস্তিতে অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার ফলে গর্ভবতী মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন। বর্তমান সরকার চা জনগােষ্ঠীর লােকদের আর্থ সামাজিক, শিক্ষা সামাজিক, অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে চা জনগােষ্ঠীর কল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.