Header Ads

মমতার পথেই স্ট্যালিন ! মোদী-রেড্ডির সাফল্যে প্রশান্ত কিশোরের পাড়ি দক্ষিণে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই পা বাড়াচ্ছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিন। প্রশান্ত কিশোর ডিএমকের হয়ে কাজ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের পূর্ব সাফল্যের কথা বিবেচনা করে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে কাজে লাগাতে চাইছেন এমকে স্ট্যালিন। এর আগে তাঁকে পরামর্শদাতা করে সাফল্য পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও জগন্মোহন রেড্ডি। বর্তমানে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছেন। যদিও চন্দ্রবাবু-রাহুল ও লালু তাঁর ওপর ভরসা করে একেবারে ডুবে গেছেন ! 

সম্প্রতি বাংলার উপনির্বাচনে তিনি তৃণমূলকে ফের সাফল্যের সরণিতে নিয়ে গিয়েছেন বলে কেউ কেউ দাবি করছেন, যদিও এ দাবির কোন বিশেষ ভিত্তি নেই। তবু এখন তাঁর সামনে টার্গেট কলকাতা পুরসভা-সহ ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন। তারপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। আর এরই মাঝে এসে গেল তামিলনাড়ু থেকে ডিএমকের ডাক।
এই সপ্তাহের শুরুতে প্রশান্ত কিশোর ডিএমকে সভাপতি এমকে স্টালিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে ডিএমকে আগামী ২০২১ সালের তমিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে। আর প্রশান্ত কিশোর ২০২১-এ তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের জন্যও ডিএমকে-র প্রচারের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন !
২০২১-এ তৃণমূলের প্রচার পরিকল্পনাও নিরূপণ করবেন তিনি। এর আগে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি, কংগ্রেস, জেডিইউ, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন।
তাঁর প্রথম বড় প্রচার ছিল ২০১১ সালে গুজরাটে। গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীকে টানা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জয়লাভ করানোর পিছনে ছিলেন প্রশান্ত। তাঁর কর্পোরেট পরিকল্পনায় ভর করেই ২০১৪ সালে মোদী দিল্লির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় আসতেও প্রশান্ত কিশোরকে ব্যবহার করেছিলেন জগন্মোহন রেড্ডি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.