Header Ads

বদরপুরে রেল ডিভিশন চাই : দাবীর চড়া সুর সহ ধর্না সচেতন নাগরিকদের

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : যে কোন মূল্যে বদরপুরে রেল ডিভিশন চাই। অন্য কোথাও হলে এর ফলে পরিস্থিতি বিগড়ালে দায়ী থাকবেন রেলের আমলারা। বদরপুরের নাগরিকরা রেল ডিভিসনের দাবিতে ডাকা ধর্নায় এই বার্তাই পৌছে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষকে।
সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ বদরপুর রেলওয়ে এরিয়া ম্যানেজার অফিস প্রাঙ্গনে এলাকার সচেতন নাগরিক সহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ধর্না কার্যসূচী পালন করা হয়। এদিন বিভিন্ন স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলেন কলেজ পড়ুয়া সহ সচেতন নাগরিকরা। 1988 সাল থেকে দীর্ঘ প্রত্যাশিত দাবি রেল বিভাগ বদরপুরকে উপেক্ষিত করে অন্যত্র নেওয়ার পরিকল্পনাকে ব্যাস্তে দিতে বদরপুর সহ পাশ্ববর্তী কাটিগড়া, শ্রীগৌরী সহ বিভিন্ন এলাকায় সচেতন নাগরিক ও  আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার আন্দোলন শুরু হয়। রেল বিভাগের কাছে  ডিমান্ড কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকপত্ৰ জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রেল মন্ত্রী, এজিএম, এডিআরএম এন.এফআর ও অঞ্চল পরিচালককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এদিন কল্লোল মজুমদার ও ময়নুল হক সাংবাদিক সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বরাক উপত্যকার সমস্ত প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। তারা বলেছিলেন এই চাহিদা কেবল বরাক উপত্যকার চাহিদা নয়। তখনকার সময়ের
কাবিন্দ্র পুরকায়স্থ, বরকের সংসদ তথা সদস্য দ্বারকা নাথ দাস, ১৯৯৯-৯৩ সালে বদরপুর জংশনের আপগ্রেডে রেল বাজেটের উপর বক্তব্য রাখছিলেন। রেলওয়ে বিভাগের হিসাবে সন্তোষ মোহন দেব, বরকের পার্লামেন্টে বদরপুরের ডিভিশন নিয়ে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করে উত্থাপন করেছিলেন। এছাড়াও রাজ্যসভায় থাকাকালীন কমলেেন্দু ভট্টাচার্য্য এই দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বদরপুরে সবকিছুর সুবিধা রয়েছে যেমন জমি, কোয়ার্টার  হাসপাতাল, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফায়ার ব্রিগেড এবং অন্যান্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা । সুতরাং তা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও বিশাল তহবিলের প্রয়োজন নেই। এছাড়া রয়েছে পর্যাপ্ত সরকারি জমি । তারপর ও বদরপুর কে বাদ দিয়ে অন্যত্র রেল ডিভিশন করার প্রচেষ্টা কেন? এর পেছনে কি এমন রহস্য কাজ করছে? অন্যত্র রেল ডিভিশন করার পেছনে কল কাটি নাড়ছে কারা, জানতে চান বক্তারা। বক্তারা বলেন  রঙিয়া, লামডিংএ এতো সব সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও রেল ডিভিশন স্থাপন হয়েছে। তাহলে বদরপুরে রেল ডিভিশন হবে না কেন? বক্তারা বলেন  শিলচরে রেল ডিভিশনের জন্য  সুবিধা জনক জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি জমি নেই। তারপর ও একটি চত্রু নিজেদের স্বার্থে বিলাসি জীবন যাপনের জন্য রেল ডিভিশন শিলচর নিয়ে যাওয়ার গোপন চক্রান্ত চালাচ্ছে। 
বদরপুরের বদলে অন্য জায়গায় রেল ডিভিশন করার ‘চক্রান্ত’ যে কোন ভাবে আটকাবে বরাক ভ্যালি বদরপুর রেলওয়ে ডিভিশন ডিমান্ড কমিটি। কমিটির বক্তব্য, প্রয়োজনে জনস্বার্থে রেল রুখ আন্দোলন গড়ে তুলবেন। কিছু কিছু আমলাদের স্বার্থে কেন রেলওয়ে ডিভিশন অন্যত্র চলে যাবে তা কোনো অবস্থায় মানা যাবে না। সবশেষে একথা বলেন 35 বছরের আন্দোলনকে অগ্রাহ্য করে রেল ডিভিশন বদরপুরে থেকে সরিয়ে নিলে পরিণাম ভয়ানক হবে বলে রেল বিভাগকে হুশিয়ারী দেন আন্দোলন কারীরা। এদিনে ধর্না কার্যসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা দীপক দেব, জিল্লুন নূর চৌধুরি, রূপন কুমার পাল, নিজাম উদ্দিন, কমিশনার সিতাংশু রায়, অনিতা বরুয়া, সমাজসেবী চন্দন লাল সেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরি, মনছুর আহমেদ, আইনজীবী বিশ্ববরুণ বড়ুয়া, জেলা পরিষদ সদস্য এনাম উদ্দিন, কংগ্রেস নেতা আশুক উদ্দিন, পীযুষ মজুমদার, রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, বাবলি দাস সহ অন্যান্যরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.